বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৩

মুহূর্তের মন্তব্যমালা

রং বিহীন সরকার আর বিরোধী দলের ফ্রাই কার্ড!!
রাজনীতির মাঠের দক্ষ খেলোয়ার বিবেচিত আওয়ামীলীগ, বিরোধী দল আর বিরোধী মত দমনে ৫২ কার্ডের ৫৩ ফর্মূলা প্রয়োগ করে ফেলেছে! সাথে সাথে সুশাসন, দক্ষতা আর কৌশলের সকল রং শেষ করে ফেলেছে......
সর্বশেষ রং, গনজাগরনের শক্তিকে ট্রামকার্ড বানালেও নাস্তিকতার ওভারট্রামে ধরা খেয়েছে!!!
মাঠে আর রং নাই, বিরোধী পক্ষ এখন শুধুই ফ্রাই খেলবে-
পদ্মা সেতু দূর্নীতি- ফ্রাই
হলমার্ক কেলেংকারি- ফ্রাই
কুইক রেন্টাল দূর্নীতি- ফ্রাই
শেয়ার বাজার কেলেংকারী- ফ্রাই
পুলিশের গুলিতে গনহত্যা- ফ্রাই
কালো বিড়াল দূর্নীতি- ফ্রাই
ইত্যাদি, ইত্যাদি- ফ্রাই
বিরোধী দলের এমন শক্তিশালি ফ্রাই কার্ডের পাশাপাশি ২-১ টা হরতন কিংবা রুইতনে ২, ৩ এর ওপরও যে সরকারকে ২-১ টা টেক্কা অসহায়ের মতো পাশাতে হবে এটাই স্বাভাবিক!
আর তাইতো, তারুন্যের শক্তিকে ব্যবহারের বাসনায় পুলিশি নিরাপত্তা, বিরিয়ানির প্যাকেট, পানি, টয়লেটের সুব্যাবস্থায় বেড়ে তোলা "গনজাগরন মঞ্চ" বন্ধ করার পথ খুঁজতে হচ্ছে! বড় পিরিতের বড় দুর্গতিতে, ব্লগারদের গ্রেফতার করে হেফাজতে ইসলামের মান রক্ষার চেষ্টা চলছে.....

উপায় নাই গোলাম হোসেন! শাসন ক্ষমতা ৩ কার্ডের জুয়া না! ৫ বছরের সমর্থনের পাঁচ দশ দুই ৫২ কার্ডের হিসাবের খেলা! অপরিনত রাজনীতির বেহিসাবী রং খরচের মাশুল সরকারকে গুনতেই হবে........সামান্যতম ফ্রাইয়ের বিপরিতে মূল্যবান অনার্স পাশাতেই হবে। আর এ খেলার সর্বশেষ ট্রাজিক পরিনতি সম্ভবত এটাই হবে যে- হাতে রাখা তত্তাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের টেক্কা রং বিহিন অসহায় সরকারকে নিরুপায় হয়েই জলান্জলী দিতে হবে। কারন, খেলার মাঠের নিয়ন্ত্রন এবং জনগন কোনটিই আর সরকারের নিয়ন্ত্রনে নেই!!!


পাগলের বর্নমালা!!!
জামাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেন মূলত জামায়াতের পৃষ্টপোষকতা! কারন এতে আর্থিকভাবে জামায়াত লাভবান হয়, শক্তিশালি হয়.....

এ কথা যদি যদি আমি বিশ্বাস করি- তো আমাকে এমন লেনদেন বন্ধ করতে হবে। এ চিন্তা যদি আমি সমর্থন করি তো আমাকে বলতেই হবে-
মৌলবাদকে সমর্থন দেয়া, মৌলবাদকে শক্তিশালি করার যে কোন প্রচেষ্টা, মৌলবাদের পৃষ্টপোষকতার নামান্তর।
এখন প্রশ্ন হলো- ভোটের রাজনীতির হিসাব নিকাসে, ৮৫% মুসলিম অধ্যাসিত ভোটারের অনুভুতি বিকাশে আওয়ামীলীগ সরকার যে হেফাজতে ইসলামের হেফাজত আর খেদমত করে যাচ্ছে তা কি মৌলবাদকে শক্তিশালি করছে না? মৌলবাদকে শক্তিশালি করার এ প্রচেষ্টা কি মৌলবাদের পৃষ্টপোষকতা নয়?

আমার দুঃখ হয়- গনজাগরন মঞ্চ প্রশ্নবিহীন অনুগত্যে টিভি ক্যামেরার সামনে পড়ে আছে গনজাগরনের মিডিয়া সেন্টারে! ক্লান্ত হয়ে পড়েছে লাকি আক্তার! হুমায়ুন আহমেদের "তুই রাজাকার" বলা তোতা পাখি এখন স্যারের সর্বশেষ বইয়ের রয়্যালিটির হিসাব নিয়ে ব্যাস্ত! আর যেভাবে ব্লগ ব্লক আর ব্লগারদের গ্রেফতার শুরু হয়েছে, সেখানে তোতা পাখিও বোঝে শাষকের চোখের ভাষা.....
এখন শুধু হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান আন্ডারসনের রুপকথার সেই পাগল দরকার, যে চোখের মাথা খেয়ে নিজেকে সৎ প্রমানে নিয়োজিত না হয়ে বলতে পারবে- রাজা ন্যাংটা!!!
যে পাগল উদ্যাম তারুন্যের মাঝে শেখাবে নতুন বর্নমালা-
ব তে বিএনপি-
তুই মৌলবাদের দোসর, তুই মৌলবাদী.....
আ তে আওয়ামীলীগ-
তুই মৌলবাদের পৃষ্টপোষক, তুই মৌলবাদী....

রসুনময় রাজনীতি!!
রাজনীতির এ রুপ দেখে দেখে আমি ক্লান্ত!
সরকার না হয় হেফাজতে ইসলামের হেফাজত আর খেদমতে নিয়োজিত হয়েছে...নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো মাথায় কালো পট্টি আর হাতে তসবি নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে...
কিন্তু সরকারের হেফাজতদারী আর খেদমতদারীর আড়ালে যে বাক আর ব্যাক্তি স্বাধীনতায় আঘাত আসলো তাতে বিরোধীদলের অবস্থান কি?
ওহহ..সরি..সরি...এদের মাথায়তো আগেই পট্টি বাঁধা! আর ওরা তো নাস্তিক! ওরাই বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা!
বাক স্বাধীনতার হেফাজতে না হোক, আবেগীয় রাজনীতির হেফাজতে এখন নিরব থাকায় শ্রেয়! নিরবতা যে হিরনময়..
আসলেই, রাজনৈতিক মাফিয়াদের রাজনীতি রসুনময়...
আলাদা কোয়া, তবে এক গোয়া!!

বিটিআরসির গুন্ডামি আর সরকারের ভন্ডামি!!!
বিটিআরসির গুন্ডামি আর সরকারের ভন্ডামিতে শেষ পর্যন্ত আমার ব্লগ বাংলাদেশে ব্লক করা হয়েছে!!
নিয়ন্ত্রনের নামে এ গুন্ডামি, এ ভন্ডামির অর্থ কি???
এর সাথে যোগসাজস রেখেই কি- তিন স্বনামধোন্য ব্লগারকে(সুব্রত শুভ, রাসেল পারভেজ, মশিউর রহমান বিপ্লব) ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছে!

হঠাৎ করে এমন ঘটনার ব্যাখ্যা কি?
লক্ষ্যনীয়, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে গনজাগরন মঞ্চ বন্ধ করার মত, আমার ব্লগ বন্ধ, ব্লগারদের গ্রেফতার পাশাপাশি ঘটছে। ইসলামি দলগুলোর ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ যত এগিয়ে আসছে সরকার ততই নিজেদের বড় আস্তিক এবং নাস্তিক ব্লগারদের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নাই প্রমানে মরিয়া হয়ে উঠছে......

ধানাইপানাই বাদ দেন- ভোটের রাজনীতির সহানুভুতির জন্য ধার্মিক হতে চাইলে হন, প্রয়োজনে আবার মুসলমানি করিয়ে, আকিকা দিয়ে আওয়ামি মুসলিম লীগে ফেরত যান। কোনো সমস্যা নাই............
কিন্তু হুজুরদের খুশি করার জন্য, ব্লগ এবং ব্লগারদের সাথে পিরিত নাই দেখানোর জন্য- স্বৈরাচার হয়ে উঠবেন না। আগুনে হাত দেবেন না। বাকস্বাধিনতার এ আগুনকে নেভানোর চেষ্টা করবেন না।
এ আগুনে হাত দিলে, হাত পুড়ে যাবে...
এ আগুন নেভাতে চাইলে, দ্বিগুন হয়ে জ্বলবে....
এখনও সময় আছে ব্লগ এবং ব্লগারদের ভোগান্তি বন্ধ করুন, আগুন থেকে হাত সরিয়ে নিন...

রহস্যময় স্প্রিপ্ট!!!
চিনির মতোই স্ক্রিপ্ট বড়ওও রহস্যময়!!!
দুদিন আগেও গনজাগরন মঞ্চের যে স্ক্রিপ্ট ছিলো দিত্বীয় মুক্তিযুদ্ধের ইশতেহার, আজ সে বক্তব্যের স্কিপ্ট স্পর্ধা!!!
এখানেই রয়েছে চিন্তাশীলের জন্য নিদর্শন....
শেখ হাসিনা বলেছেন-"'সরকারের স্পর্ধা নিয়ে প্রশ্ন তোলার স্পর্ধা গণজাগরণ মঞ্চ পায় কোথায়? তাদের বক্তৃতার ড্রাফট কে লেখে, তার খোঁজ লাগান?'
এ কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে?? যার মন ছুটে যায় শাহবাগে এ কথা বলে সে আজ কোন দুঃখে???


দি নিউ সুশিল বাংলা সার্কাস!!
রাজনীতির পাশাপাশি সুশিলতাও এখন আজব সার্কাস!!!
"দি আওয়ামী সার্কাস"......"জাতীয়তাবাদি সার্কাস".....রাজনৈতিক ভারদের সমন্বয়ে এমন রাজনৈতিক সার্কাসে পর আমরা দেখছি "দি নিউ সুশিল বাংলা সার্কাস"!!
যে সুশিলেরা হরতালের ক্ষতিকর প্রভাবের "১০০১টি কারন সাথে ১ টি ফাউ" টাইপের আলোচনায় কান ঝালাপালা করেন, হরতালের বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দেন! অথচ তারাই ছুটির দিনে লংমার্চের মতো কর্মসূচির বিপক্ষে হরতাল ডাকেন.....আজব......
সার্কাস চলছে, সার্কাস চলবে...
কবি আর সুশিলেরা মিলিবে, মিলাবে..
বাচ্চা লোক তালিয়া বাজাও.....

যখন কেউ হরতাল ডাকলো....কবি বললেন- হরতাল ধ্বংসাত্বক, বিকল্প খুঁজুন....সুশিলেরা সমর্থন করলো!!
যখন কেউ লংমার্চ ডাকলো...সুশিলেরাই প্রতিবাদে হরতাল ডেকে বসলো, কবিরাও নিরব হয়ে গেল।

দেশের চলমান সার্কাসে, সুশিলেরা এমনই ভাঁড়! আর কবি এখানেই নিরব!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন