রবিবার, ২৫ মে, ২০১৪

দুগ্ধ দানের বিরতিই নতুন গর্ভ ধারন করবে

৫ জানুয়ারী নির্বাচন ডেলিভারীতে যে সরকার শিশুর জন্ম হয়েছে, আজ তার বয়স হতে যাচ্ছে প্রায় ৫ মাস বা ১৪১ দিন। কিন্তু সে দুগ্ধপোষ্যর দুর্ভাগ্য, ইতিমধ্যেই সে হারিয়েছে তার দুগ্ধদাত্রীকে!

এ কথা অনস্বীকার্য যে, ৫ জানুয়ারীর একটি একতরফা ও অগ্রহনযোগ্য নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে নজিরবিহীন নগ্নতায় বেহায়া সমর্থন দিয়েছিলো কংগ্রেস সরকার। বিভিন্ন ইস্যুতে সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া আওয়ামীলীগকে একটি অগ্রহনযোগ্য সন্তান দেবার জন্য কংগ্রেস শুধু মমতাময় গর্ভেই ধরেনি, জন্মের পর থেকেই মাতৃসেবায় শাল-দুধের পাশাপাশি নিয়োমিত দুগ্ধদান করেছিলো!
কিন্তু এ দুগ্বপোষ্য শিশুর দুর্ভাগ্য, ১৬ মে মৃত্যু ঘটে তার দুগ্ধদাত্রীর! ক্ষমতা থেকে নির্মম পরাজয়ে সড়ে যেতে হয় কংগ্রেসকে! যখন ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন শিশুর বয়স ১৩১ দিন। এখন মায়ের দুধ ব্যতিত শিশুটির বৃদ্ধি হবে দূর্বল, আর মায়ের আদর ব্যতিত তার বিকাশ হবে বাধাগ্রস্থ, এটাই স্বাভাবিক....

বিষয়টি আরো ভালো ভাবে বোঝার জন্য, আমি তুলে দিচ্ছি মায়ের দুধের ওপর একটি আর্টিকলের অংশ- "শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। মায়ের দুধ শিশুর জীবনধারণ এবং পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য একটি উৎকৃষ্ট সুষম খাদ্য। জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব (আধা ঘন্টার মধ্যেই শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। পূর্ণ ৬ মাস (১৮০ দিন) পর্যন্ত শিশুকে শুধু মাত্র (১ ফোঁটা পানিও না) মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। এরপর পরিপূরক খাবারের পাশাপাশি ২ বছর পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধ খাইয়ে যেতে হবে।"

লক্ষ্যনীয়, ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর থেকেই সবার মনে প্রশ্ন ছিলো- জনগনকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করা এ সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে? যদিও একতরফা সরকারের অগ্রহনযোগ্য মন্ত্রীরা ৫ বছর থাকার ভাঙ্গা রেকর্ড বারবার বাজাচ্ছে! কিন্তু জনমনে এমন সন্দেহ ও সংশয় রয়েই গেছে। এবং ৬ মাস পূর্ন হওয়ার আগেই দুগ্ধদাত্রী কংগ্রেসের বিদায়ে এ ধারনা আরো দৃঢ় হয়েছে!
৫ জানুয়ারীর সরকার শিশুটি যদি পূর্ন ৬ মাস কংগ্রেসের দুগ্ধ সাদৃশ সমর্থন! এবং এরপর অনান্য দেশের পরিপূরক সমর্থনের পাশাপাশি ২ বছর পর্যন্ত কংগ্রেসের সমর্থন পেতে পারতো! তবে হয়তো পূর্ন মেয়াদ বা ৫ বছর তারা ক্ষমতায় থাকতে পারতো! কিন্তু ১৬ মে কংগ্রেসের কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেছে! এবং আজ(২৬মে) বিজেপির মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছে।

এখন কি হবে?

এটা অপ্রিয় বাস্তব যে, দুগ্ধদাত্রী কংগ্রেসের পতনের পর দুগ্ধপোষ্য সরকারটি এখন বিজেপিকে দুধমাতা করে তার জীবনধারণ এবং পুষ্টি ও বৃদ্ধির যোগান নিশ্চিত করতে চাইবে! এবং ব্রড মেজরিটির বিজেপি যদি সেলফ মেজরিটির আওয়ামীলীগের দুধমাতা হয়ে যায় তবে ৫ জানুয়ারীর শিশুটি আরো কয়েক বছর টিকে থাকবে, হয়তো মেয়াদও পূর্ন করবে!

কিন্তু বিজেপি যদি কংগ্রেসের দুগ্ধপোষ্য এবং একতরফা নির্বাচিতদের দুগ্ধদান না করে, তাহলে?

উত্তরঃ ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ালে স্বাভাবিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে এবং ২ বৎসর বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ালে ঘন ঘন গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই বিজেপি দুধ না খাওয়ালে ৫ জানুয়ারী শিশুর পর নতুন শিশু গর্ভে চলে আসবে! এবং নতুন শিশুকে স্থান করে দিতে অপুষ্টিতে ভোগা ৫ জানুয়ারীর শিশুকে তার দুগ্ধদাত্রী কংগ্রেসের পথই ধরতে হবে......

বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

গুমমাচালেএএএ

রিমোর্ট নিয়ে অবিরত চ্যানেল চেন্জ করছি---
এক চ্যানেলে গান বাজছে- 'ধুম এগেইন'
চ্যানেল চেন্জ করতেই, নিউজ দেখাচ্ছে- নারায়নগন্জে গুম এগেইন!!!

তারপর থেকে মাথায় শুধু এক আইটেমই ঘুরছে-

♫♪গুম গুম
আবার হয়েছে
গুম গুম
লাশ ভেসেছে

গুম গুম
তুমিও হয়ে যাও...


আআআ...গনতন্ত্রই যেখানে গুম হয়ে যায়
অবৈধ তন্ত্র গায়ে সয়ে যায়
গন'কে তখন ছুয়ে যাবে, অদৃশ্য চুুউউম...

গুমমাচালেএএএ
ওয়ান -টু-থ্রি-ফোর
গুমমাচালে, গুমমাচালে, গুউউউমমমম'♫♪


আইটেমটা কাউকে শোনানো দরকার, তাই টিভি সাউন্ড মিউট করে ফোন করেছি আমার প্রিয়তমাকে। গতরাতে যাকে বলেছিলাম- "আমায় গুম করে দাও হে তোমার, নগ্ন বাহু ডোরে"
সে হেসেছিলো, অনেক হেসেছিলো। অথচ আজকের আইটেম শুনে সে স্তব্দ হয়ে গেছে! ক্ষনিক নিরবতা ভেঙ্গে প্রশ্ন করলো- এটা কি ফান নাকি বিকৃত ফ্যান্টাসি? গুম নিয়ে তুমি গুমমাচালে গাইছো? কেমন হবে যদি তুমি নিজেই গুম হয়ে যাও? যখন তোমার মধ্য বয়সী মা, রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দুহাত বাড়িয়ে দাড়িয়ে থাকবে! দৃষ্টি থেকে যার বৃষ্টি যাবে শুকিয়ে, সে অশ্রু মুছবেনা গোপনে আঁচলে মুখ লুকিয়ে, শুধু শূণ্যে চেয়ে থাকবে আকাশের সীমা ছাড়িয়ে...খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে, কবে ফিরবে? নাকি ফিরবেনা?

আমি কোন জবাব দিতে পারিনি! ফোনটা রেখে বিক্ষিপ্ত ভাবে রিমোর্ট নিয়ে চ্যানেল চেন্জ করছি-
এক চ্যানেলে বাজছে সুবির নন্দীর গান- ♫♪আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি, আমায় আর কান্নার ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই♫♪
আসলে, আমিও শেয়ার বাজারে সঞ্চয় গুম হতে দেখেছি, পদ্মা সেতুতে সম্ভবনা গুম করতে শিখেছি। দ্রব্যমূল্যে গুম করেছি দীর্ঘশ্বাস, মগের গুমরাজ্যেই আমাদের বাস। গুম হতে দেখেছি গনতন্ত্রও!!

প্রিয়তমা আমার,
প্রতি পদে পদে, গুম হতে হতে, আমি মানুষিক গুম হতে শিখেছি! আমায় আর শারিরিক গুমের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই...

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

ইতিহাস চক্র যেভাবে ভাঙ্গতে হবে

ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে! যেমন বৃষ্টি হয়ে পানি ফেরে সাগরে...
পানি চক্রের মতো ইতিহাসও কি চক্রে ঘোরে??

দিল্লির মোঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মানসিংহ বাংলাকে দিল্লির সুবা বা প্রদেশে পরিনত করেন।
আকবরের পরে তার পুত্র জাহাঙ্গীর দিল্লির মসনদে বসলে, বাংলার সাথে দিল্লির সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে। যে পরিবর্তনের বড় প্রভাব ছিলো বাংলার কোষাগার থেকে টাকা ও সম্পদ দিল্লিতে পাচার।
১৬৭৮ সালে সুবেদার শায়েস্তা খান এক বারেই নগদ ৩০ লক্ষ টাকা ও ৪ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা দিল্লিতে পাঠান। এই ধারা পরবর্তিতে কেবলই বেড়েছে। যার উল্ল্যেখযোগ্য উদাহরন হলো- সুবেদার সুজাউদ্দিন তার ১১ বছরের সুবেদারিরর সময়ে দিল্লিতে প্রায় ১৪ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা পাঠায়।(তৎকালিন সময়ের মুদ্রামান, বর্তমান সময়ের নয়!!!)

এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্যনীয়-
এক.- দিল্লির মসনদ পরিবর্তনে, বাংলার সাথে সম্পর্কও পরিবর্তন হয়েছিলো।
দুই.- পরিবর্তিত সম্পর্কে সুবার সুবেদারি টেকাতে সুবেদাররা মরিয়া হয়েছিলো।
তিন.- সুবেদারদের সুবেদারী স্বার্থে দিল্লির গুরুত্ব ছিলো অগ্রগন্য আর জন্মভূমি বাংলা হয়েছিলো বঞ্চিত, শোষিত।

এখন, বর্তমানের ঘটনাচক্রে এ ইতিহাসই কি ফিরে আসছে না?
এক.- দিল্লির মসনদ পরিবর্তন হয়েছে, বাংলাদেশের সাথেও সম্পর্ক পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।
দুই.- পরিবর্তিত সম্পর্কে সুবার সুবেদারী টেকাতে কিংবা সুবেদারী লাভ করতে নেতৃত্ব মরিয়া হয়েছে।
তিন.- সুবেদারীর স্বার্থে দিল্লি হয়েছে গুরুত্বপূর্ন আর বাংলাদেশের গুরুত্ব কমেছে।

অনেকেই এখন দ্বিমত প্রসন করে বলতে পারেন- 'ঘটনা প্রবাহের সাথে ইতিহাসের সাদৃশ্য আছে বটে, তবে তা ঘটনাচক্র নয়। কারন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট, দিল্লির সুবা বা প্রদেশ নয়!
উত্তরঃ দাসত্ব শুধু শারিরিক নয় বরং মানষিক দাসত্বও দাসত্ব। বাংলাদেশ স্বাধীন তবে নেতৃত্বের আচরন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বাংলাদেশ এখন মানুষিক সুবা! এটা সার্বভৌমত্বের মানুষিক দাসত্ব!

ইতিহাস এভাবেই ফিরে আসছে! যেভাবে পানি ফিরে আসে সাগরে...

এখন প্রশ্ন হলো- ইতিহাসের এ চক্রে, এরপর কি হবে?

উত্তরঃ দিল্লির দাসত্বে হয়তো কারা সুবেদারী রক্ষা পাবে, অথবা কারো সুবেদারী লাভ হবে! তারপর কৃতজ্ঞতায় পূজি পাচারের মতো পাচার হবে এদেশের পূজি-তেল-গ্যাস! কেন্দ্রের করিডোর হিসাবে ব্যবহার হবে সুবা! ফারাক্কা-টিপাইমুখ-অন্তঃনদীয় মহাসংযোগ প্রকল্পের বাস্তবান হবে প্রশ্নাতিত! বানিজ্যিক ব্যবধানের আকাশ-পাতালে বাংলাদেশ পরিনত হবে শুধুই বাজারে।

তবে ইতিহাস চক্রের লক্ষ্যনীয় যে দিকটি ঘটবে- দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীর বরাবর বাংলার সুবেদাররা যে অর্থ পাচার করেছিলো, তাতে ফুঁলে উঠেছিলো দিল্লির রাজকোষ। পরবর্তিতে জাহাঙ্গীর পুত্র শাহজাহান মসনদে বসলে এ সমৃদ্ধ রাজকোষে হাত দিয়েই গড়েছিলেন ইন্ডিয়ার গর্ব 'মমতাজ মহল' বা তাজমহল।
ইতিহাস চক্রে, দিল্লির দাসত্বে মরিয়া সুবেদাররা ক্ষমতা স্বার্থে দেশকে এমনভাবে বিকোবে, দিল্লির রাজকোষ আবারও ফুঁলে উঠবে, ইন্ডিয়া শাইনিং হয়ে উঠবে। তবে বাংলাদেশকে মলিন করে।

এটাই বাংলাদেশের দূর্ভাগ্যের ইতিহাসের চক্র! যে চক্রে বন্দি হয়ে গেছে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সমৃদ্ধি। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে ইতিহাসের এ দুষ্টচক্র ভাঙ্গতে হবে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে- ইতিহাস তো ফিরে ফিরে আসে! তাহলে ইতিহাসের এ চক্র ভাঙ্গা কিভাবে সম্ভব?
উত্তরঃ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে।

শনিবার, ১৭ মে, ২০১৪

আপন শক্তিতে শিক্ষার আলোকময় যাত্রা

শিক্ষা, অসাধারন এক আলোকিত চিজ!
ক্ষুদ্র স্বার্থে শিক্ষাকে মোড়াতে চাইলে, আপন শক্তিতেই শিক্ষা পথ বাতলে দেবে আলোকময় যাত্রার...

১৭৫৭ সালে পলাশী বিজয়ের পর ইংরেজরা তাদের শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য দেশীয়দের মধ্যে থেকে ইংরেজী শিক্ষিত একটি অনুগত শ্রেনী তৈরীতে মনোযোগ দেয়। বিশেষত, রাজ্য হারানো ক্ষুব্ধ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি স্পর্শ করা এবং চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয় সংস্কৃত কলেজ।
ইংরেজরা মূলত তাদের শাষন পাকাপোক্ত করার জন্যই এসব উদ্যোগ নেয়। পরবর্তিতে শিক্ষা বিস্তারের এ উদ্যোগকে সফলতার সাথে এগিয়ে নেন লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং ও লর্ড হার্ডিন্জ।

কিন্তু ইংরেজদের জন্য করুন পরিহাস আর এ অঞ্চলের মানুষের অসাধারন ইতিহাস হলো- অনুগত শ্রেনী তৈরী করে শাসন পাকাপোক্ত করার শিক্ষা উদ্যোগ এ দেশীয় মানুষের মধ্যে ব্যপক প্রভাব ফেলে, তাদের মধ্যে নতুন চেতনার স্ফুরন ঘটতে থাকে। তখন সংবেদনশীল মানুষের নজর যায় সমাজের দিকে, যা পরবর্তিতে উপনিবেশিক শাষনের অবসান ঘটাতে সহায়তা করে।

অর্থ্যাৎ, ইংরেজরা শিক্ষাকে তাদের ক্ষমতা পাকাকরনের ঘুটি করতে চাইলেও, শিক্ষার অপরিসীম শক্তি স্বাধীনতার আলোকিত পথই বাতলে দিয়েছে।

আমি ভাবছিলাম- ক্ষুদ্র স্বার্থে শিক্ষাকে মোড়ানোর প্রচেষ্টা কি উপনিবেশিক সূর্যের মতোই অস্তমিত হয়েছে! নাকি এ ২০১৪-তেও মধ্যগগনে রয়েছে!
আমি দেখছিলাম এবারের এস.এস.সি.'র রেজাল্ট। যাতে গড় পাস করেছে ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ জন শিক্ষার্থী।
অভাবিত অভিভূতকর এক রেজাল্ট! যেখানে একটি প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষাকে জিপিএ-৫ তৈরী আর পাশের হার বাড়ানোর ফ্যাক্টরী বানানো হয়েছে।
অনেকেই এখন বলতে পারেন- শিক্ষার মান বেড়েছে, তাই এ উৎকর্ষ রেজাল্ট। এখানে প্রশ্ন করার সুযোগ নেই।
কথাটি অনুগত শ্রেনীর মতোই হয়ে গেল! শিক্ষার মান বেড়েছে? কিন্তু এতটাই কি বেড়েছে যে রাজশাহীতে ৯৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ পাশ করেছে! লক্ষ্যনীয়, অবশিষ্ট ৩ দশমিক ৬৬ কিন্তু ফেল করেনি! এরমধ্যে অনুপস্থিত এবং বহিস্কারও রয়েছে। অর্থ্যাৎ পরিক্ষা দেয়া পাসের হার প্রায় ১০০ ভাগ! মান এতই বেড়েছে? নাকি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে?
আসলে বাস্তবতাতো এটাই প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষাকে কলংকিত করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের হিরিক লেগেছিলো এ পরীক্ষা নামক তামাশায়! ফটোকপির দোকানে, ফেসবুকে পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্নপত্র পাওয়া গিয়েছিলো!
বাস্তবতা এটাই- বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যপক জনসমর্থন হারানো এবং একটি একতরফা ও অগ্রহনযোগ্য নির্বাচন করে বসা দূর্বল সরকার শিক্ষাকে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার মোড়কে মোড়াতে আত্বতুষ্টি মূলক রেজাল্ট দিয়েছে! যেখানে নিজেদের সফলতা প্রচারের পাশাপাশি বাড়তি লক্ষ্য হলো ক্ষুব্ধ জনগনকে তুষ্ট করা।
কিন্তু এটাই হবে এ সরকারের জন্য নির্মম পরিহাস আর এ দেশের তরুনদের জন্য আলোকিত ইতিহাস।
এবারের পরিক্ষায় বানের পানির মতো জিপিএ-৫ আর পাস করে যাওয়া শিক্ষার্থীরা আর কিছুদিন পড়েই আঠারো বছরে পা দেবে। ভোটাধিকার প্রাপ্তির বয়সে তাদের নতুন চেতনার স্ফুরন ঘটবে। তখন তাদের জিপিএ-৫ পাওয়া হৃদয় ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন সম্পর্কে সচেতন হবে। যা কিনা এ অগ্রহনযোগ্য শাসনের অবসান ঘটাবে।
এটাই আপন শক্তিতে শিক্ষার আলোকময় যাত্রার।