সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৪

দালাল ডুববে নাকি স্বাধীনতার সূর্য?

গল্পটি ধূর্ত শিয়াল ও বোকা এক কুমিরকে নিয়ে। এই ধূর্ত শিয়াল কুমিরকে বোকা পেয়ে বারবার
ঠকায়। ঠকতে ঠকতে এক সময় সেই কুমির কিছুটা চালাক হয়ে পড়ে। একদিন সেই শিয়াল
সাঁতরে নদী পার হতে যায়। তখন বাগে পেয়ে সেই কুমির শিয়ালের পা জাপটে ধরে। শিয়াল নদীর
স্রোতকে শুনিয়ে শুনিয়ে হাসতে হাসতে বলে, ‘দেখো দেখো স্রোত ভাইয়া, কুমিরটি এখনো সেই
আগের মতোই বোকা রয়ে গেছে। আমার পায়ে না ধরে লাঠিতে ধরে বসেছে।’ এমনভাবে জব্দ হওয়ার পরেও শিয়ালের হাসি দেখে কুমির আরো বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। শিয়ালের পা ছেড়ে দিয়ে লাঠিটি জাপটে ধরে। তখন হাতের লাঠি ফেলে রেখে ধূর্ত শিয়াল দ্রুত নদী পার হয়ে যায়।

জনগন যেন সেই বোকা কুমির! যাকে বোকা পেয়ে ধূর্ত শেয়াল বারবার ঠকায়। ঠকায় দশ টাকা সের চালের ক্ষুধায়, ঠকায় ঘরে ঘরে চাকুরী ছুতায়, ঠকায় শেয়ার বাজারে, পদ্মা সেতুতে! ঠকায় নির্বাচনে, গনতন্ত্রে...
এভাবে ঠকতে ঠকতে বোকা কুমির কিছুটা চালাক হয়ে পড়েছে, ফেসবুক-ব্লগে এ নব্য চালাক কুমিরেরা স্ট্যাটাস দিয়ে শেয়াল ধরছে বটে তবে সমস্যা হলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের ধরাটা শেয়াল নয় বরং শেয়ালের বাড়িয়ে দেয়া পা!!

সম্প্রতি ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামী বাংলাদেশের কাছে এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দাবি করায়, চালাক কুমিরেরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ফেসবুকে-ব্লগে সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামী আর ভারতের তীব্র প্রতিবাদ করছে ঠিকই, তবে পরিহাস হলো সেটা শেয়াল নয় বরং শেয়ালের লাঠি!

আমি ভাবছিলাম- ১৭৫৭ সালে পলাসীর আম্রকাননে ইস্ট-ইন্ডিয়া কম্পানীর আগ্রাসন নিয়ে যতটা সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিলো তার এক শতাংশও যদি ইস্ট-ইন্ডিয়ান দালাল মীর জাফরদের নিরবতা সম্পর্কে নেয়া হতো তবে বাঙলা-বিহার-উড়িষারের স্বাধীনতার সূর্যটা ডুবতো না!
আজ ভারতের আগ্রাসন নিয়ে নব্য চালাক কুমিরেরা ১৭৫৭'র মতোই সচেতন! এবং নিখিল ভারতের নিরবতার দালালদের প্রশ্নে অবচেতন! স্বাধীনতার সূর্য কি আর গগনে থাকবে??

লক্ষ্যনীয়, সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামীর এ বক্তব্যের পর বাংলাদেশের সরকার কি ভারতীয় দুতাবাসে কোন ব্যাখ্যা চেয়েছে?
উত্তরঃ না!
পররাষ্ট্র মন্ত্রানালয় কি কোন প্রতিবাদ করেছে?
উত্তরঃ না!
এ নিরবতা কি ঐতিহাসিক গোধুলী লগ্নের ইংগিত নয়?

তাই, ডিয়ার কান্ট্রিমেট, প্লিজ ওয়েক আপ।
সার্বভৌম্তের প্রশ্নে নিরব থাকা শেয়ালকে বাদ দিয়ে লাঠি ধরতে যাবেননা!
স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হবার পূর্বেই চিনে নিন দালালরূপি শেয়ালদের। এদের ধরুন এবং ডুবিয়ে দিন। নইলে এরা স্বাধীনতার সূর্যই ডুবিয়ে দেবে....

শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৪

চাটুকারীতা যখন বিপদজনক হয়ে ওঠে!

অবশেষে মুক্ত হলেন পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিক।
এর মাধ্যমে প্রায় ২ দিনের উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে এক স্ত্রী ফিরে পেয়েছে তার স্বামীকে, মা ফিরে পেয়েছে তার সন্তানকে, সন্তানেরা ফিরে পেয়েছে তার বাবাকে।
এবং অবসান হয়েছে দিনে-দুপুরে সিনেমাটিক অপহরনের, রাত-দুপুরে নাটকিয় মুক্তিতে।

যে মুক্তিটি(পড়তে হবে উদ্ধার) ছিলো নিতান্তই আশাবাদ! যাকিনা অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই অক্ষত অবস্থায় এবং দ্রুততার সাথে মুক্তিতে গড়িয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো- সেটা কিভাবে সম্ভব হয়েছে-

বিভিন্ন গনমাধ্যমের নিউজ এবং রিজওয়ানা হাসানের বিবৃতি পড়ে যে দুটি পয়েন্ট আমার কাছে উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছে-
এক. প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সদিচ্ছা বা সরাসরি তদারকি।
এবং দুই. গণমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন ও রাষ্ট্রের প্রচণ্ড চাপ।
অভিনন্দন, প্রধানমন্ত্রীকে। অভিনন্দন, গণমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। এক স্বজন হারাতে বসা পরিবারের চোখের পানি মুছে দিতে তাদের এ ভূমিকা সত্যি অতুলনীয়।

আমি পড়ছিলাম- ১৮ই এপ্রিলের দৈনিক প্রথম আলোয় আইনও সালিস কেন্দ্রের গত ৪ বছরের অপহরনের তথ্য সম্বলিত নিউজ। "গত ৪ বছরে অপহৃত হয়েছে ২৬৮ জন, ফিরে এসেছে ২৪ জন, লাস উদ্ধার হয়েছে ৪৩ টি আর এখনো নিঁখোজ ১৮৭ জন"!!
এখন প্রশ্ন হলো- ফিরে আসা ২৪ জন বাদ দিলে অবশিষ্ঠ ২৪৪ জনের ক্ষেত্রে কি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সদিচ্ছা বা সরাসরি তদারকি ছিলো না? ছিলো না গণমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন ও রাষ্ট্রের প্রচণ্ড চাপ?
এ ২৪৪ পরিবারের চোখের পানির দায় কি এড়াতে পারেন আজকের কৃতীত্বের দাবীদার, অভিনন্দন প্রাপ্তরা?
অবশ্য, ইস্যুর নিচে চাপা পড়া ইস্যুর মতোই, এক আবু বকরের মুক্তিতেই চাপা পড়ে যাবে ২৪৪ গুম! যেমন আবু বকর সিদ্দিকের অপহরনে চাপা পড়েছে- এয়ারপোর্টে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর অপারেশনের ঘটনা।
এমন ইস্যুর চাপা পড়ার আরেকটি বিশেষ দিক লক্ষ্যনীয়- যেখানে ইস্যু ভিত্তিক সমস্যা সমাধানে এক ত্রাতার ভূমিকাও থাকে। চাটুকারেরা বলে বেড়ান- ত্রাতার সদিচ্ছাতেই তো এটা সম্ভব হয়েছে। এই চামচাগিরির উদ্দেশ্য হলো সমালোচনায় বিদ্ধ প্রভুকে একজন সর্বশক্তিমান অতিকায় মানবের ভাবমূর্তি দেয়া। কিন্তু চাটুকারী এই মনোভাবের পরিণতিও কিন্তু বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে-
প্রশ্ন আসতে পারে- কিভাবে?
উত্তরঃ ইউ কে ডি!
একজন জাদরেল সরকারি কর্মকর্তা। আড্ডা ও পার্টিতে তিনি সাধারণত চুপচাপই থাকতেন। আর কথার খই ফোটাতেন তার স্ত্রী। যে কোনো সরকারি কাজের কথা উঠলে স্ত্রীটি বলতেন- ওটা তো উনিই করিয়ে দিলেন। সেই থেকে ওই স্ত্রীর নাম হয়ে যায় উনিই করিয়ে দিলেন সংক্ষেপে ইউ কে ডি। কিন্তু গোলমাল হয়ে গেল একদিন এক পার্টিতে। ভদ্রমহিলার খেয়াল ছিল না যে ওই পার্টির হোস্ট বহুদিন পর তার স্ত্রীর প্রথম সন্তান প্রসবে খুশি হয়ে সবাইকে সেদিন ডেকেছিলেন। বেখেয়ালি স্বামীভক্ত সেই ভদ্রমহিলা সেদিন সেই সন্তান সম্পর্কে বলে ফেললেন, ওটা তো উনিই করিয়ে দিলেন!

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৪

ষোল আনাই মিছে

ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী যখন স্পিকার হিসাবে শপথ নিলেন। তার অল ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট রেজাল্ট দেখে, অপার বিষ্ময়ে ভেবেছিলাম- রাজনীতির এ দুর্বৃত্তায়নের সময়ে অশিক্ষিত আর অর্ধশিক্ষিত লিলিপুটদের মাঝে তিনি উচ্চ শিক্ষার এক গালিভার!
তিনি জানেন- "চাঁদটা কেন বাড়ে কমে ? জোয়ার কেন আসে ?" নদীর ধারা কেমন করে পাহাড় থেকে ভাসে?"

কিন্তু হায়! এতকিছু জানলেও তিনি জানেন না, প্রথিতযশা সাংবাদিক এবং ১৯৭৩-এ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হওয়া এবিএম মূসা, সংসদ সদস্য ছিলেন!!
সদ্য প্রয়াত সাবেক সাংসদ এবিএম মূসার জানাজা কেন সংসদ সচিবালয়ের দক্ষিণ প্লাজায় হয় নি? এ প্রশ্নের উত্তরে ড. শিরিন বলেন- "আমি জানতাম না এবিএম মূসা সংসদ সদস্য ছিলেন।"

@মাননীয় স্পিকার,
এমন 'অল ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট' দিয়া জাতি কি করিবে? শুধু মাত্র বিসিএস-এ 'দেশের প্রথম নারী স্পিকার কে? এ প্রশ্নের উত্তর ছাড়া?

(ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী'র জন্য এই মুহূর্তে আমি ডেডিকেট করছি- সুকুমার রায়ের চিরন্তন কবিতা 'ষোল আনাই মিছে')

"বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটে
মাঝিরে কন, "বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে ?
চাঁদটা কেন বাড়ে কমে ? জোয়ার কেন আসে ?"
বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফ্যালফেলিয়ে হাসে।
বাবু বলেন, "সারা জনম মরলিরে তুই খাটি,
জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারি আনাই মাটি।"

খানিক বাদে কহেন বাবু "বলত দেখি ভেবে
নদীর ধারা কেমনে আসে পাহাড় হতে নেবে ?
বলত কেন লবণপোরা সাগর ভরা পানি ?"
মাঝি সে কয়, "আরে মশাই অত কি আর জানি ?"
বাবু বলেন, "এই বয়সে জানিসনেও তা কি
জীবনটা তোর নেহাৎ খেলো, অষ্ট আনাই ফাঁকি ?"

আবার ভেবে কহেন বাবু "বলতো ওরে বুড়ো,
কেন এমন নীল দেখা যায় আকাশের ঐ চূড়ো ?
বলত দেখি সূর্য চাঁদে গ্রহণ লাগে কেন ?"
বৃদ্ধ বলে, "আমায় কেন লজ্জা দেছেন হেন ?"
বাবু বলেন, "বলব কি আর, বলব তোরে কি তা,--
দেখছি এখন জীবনটা তোর বারো আনাই বৃথা।"

খানিক বাদে ঝড় উঠেছে, ঢেউ উঠেছে ফুলে,
বাবু দেখেন, নৌকোখানি ডুবল বুঝি দুলে !
মাঝিরে কন, "একি আপদ ! ওরে ও ভাই মাঝি,
ডুবল নাকি নৌকো এবার ? মরব নাকি আজি ?"
মাঝি শুধায়, "সাঁতার জানো ?" --মাথা নাড়েন বাবু,
মূর্খ মাঝি বলে, "মশাই, এখন কেন কাবু ?
বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব করো পিছে,
তোমার দেখি জীবন খানা ষোল আনাই মিছে।"

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪

বাঙলা নববর্ষে যে উৎসবটা বাঙলাদেশে হতে পারে?

প্রাচীন বাঙলা নববর্ষ উৎযাপনের আনুষ্ঠানিকতায় বিশেষায়িত উৎসব হলো- পুন্যাহ, হালখাতা এবং বৈশাখী মেলা।
আধুনিক বাঙলা নববর্ষ উৎযাপনের সবচেয়ে সুগঠিত ও সুপরিকল্পিত উদ্যোগ হলো- রমনার পাকুড়মূলে ছায়ানটের নববর্ষ উৎসব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্নাট্য মঙ্গল শোভাযাত্রা।
এ ছাড়াও বিভিন্ন আঞ্চলীক উদ্যোগে হয়- বলীখেলা, ঘোড়দৌড়, মোরগ লড়াই, লাঠিখেলা, যাত্রাপালা, কবিগান, গম্ভিরা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা....

লক্ষ্যনীয়, নববর্ষ উৎযাপনের এ অনুষ্ঠানগুলো এ অঞ্চলের মানুষের মন ও মননের সাথে এবং তাদের আর্থিক ও সামাজিক বাস্তবতার সাথে সম্পর্কিত।
এ সম্পর্কটা শুধু কৃষি প্রধান দেশে সাধারন মানুষে হাতে ফসল না ওঠা পর্যন্ত টাকা না থাকা, সেজন্য বাকী খাতাতে হিসাব লেখা, নতুন বছরে হাল খাতা খোলা, খাজনা দেয়া, সারা বছরের পন্য কেনার মতো উৎসবেই সীমাবদ্ধ নয়!
এ সম্পর্কটা গনতন্ত্রকামী মানুষের গনতন্ত্র আকাংখা, ভোটারদের ভোটাধিকার, এবং জনগনের প্রত্যাশিত সুশাসনের সাথেও সম্পর্কিত।

তাই এ নববর্ষে বন্ধ গনতন্ত্রের নতুন খাতা বা একতরফা নির্বাচনের বিপরীতে নতুন নির্বাচন হতে পারে 'হালখাতা'। ভোট কেন্দ্রে আমন্তিত হয়ে ভোটদিতে পারা হবে পুন্যাহ। এবং উৎসবের আমেজে সর্বদলীয় নির্বাচন হতে পারে বৈশাখী মেলা।

আর তাই, অবিলম্বে সব দলের অংশগ্রহনে একটি নির্বাচনই হতে পারে এ নববর্ষে বাঙলাদেশের সেরা উৎসব।

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৪

কাইয়ে ধান খাইলরে

হুমায়ন আহম্মেদের নাটকে একটি ডায়ালগ ছিলো- "কুকুরকে কুত্তা বলিবেন না, মাইন্ড করবে"।
ডায়ালগটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিলো। মুখে মুখে প্রচারের পাশাপাশি বেড়িয়েছিলো এর স্টিকারও...

আমি ভাবছিলাম- পশুপ্রেমী এ ডায়ালগের পাশাপাশি পাখিপ্রেমী ডায়ালগ হতে পারতো- "কাককে কাউয়া বলবেন না, মাইন্ড করবে"।
যদিও আমি জানিনা, কুকুরকে কুত্তা আর কাককে কাউয়া বলিলে তারা আদৌ মাইন্ড করে কিনা? কিংবা মাইন্ড করার মতো মাইন্ড তাদের আছে কিনা? কিংবা কুকুরকে কুত্তা না বলিয়া কুকুর আর কাককে কাউয়া না বলিয়া কাক বলিলে তারা খুশি হয় কিনা?
তবে এটা জানি, কুকুর আর কাক রূপিদের আপনি কুকুরই বলুন কিংবা কুত্তা, কাকই বলুন কিংবা কাউয়া, তারা মাইন্ড করবে।

আপনি পশু-পাখি প্রেমী হতেই পারেন। তবে পশু-পাখি রূপিদের প্রেমী হবেন কিনা সেটাই গুরুত্বপূর্ন। পশুর কামড় আর পাখির ঠোঁকড় এড়াতে চুপ থাকবেন কিনা সেটাও বিবেচ্য।
মোসাহেবরা হয়তো কাককে কোকিল বলছে! কুকুরকে বলছে বাঘ!
আপনি নিরব! মনে মনে কুকুরকে যতই শুকুর বলুন, মনে মনে শুধু মনকলাই খাওয়া হবে, পেট ভরবে না!
তবে পেট না ভরলেও, মনকলা খাওয়ার মনস্তাত্বিক এক মজা আছে নিশ্চই! আর তাইতো কিছুদিন আগে গনতন্ত্রকে নসাৎ হতে দেখা জাতি, নিজ দেশে গনতন্ত্রের প্রশ্নে নিরব থাকলেও, বৃহৎ প্রতিবেশীর বৃহৎ গনতন্ত্র উৎসবে ব্যপক আগ্রহ দেখাচ্ছে!

আমি ভাবছিলাম- জারি-সারি গানের বাংলাদেশে, সারি গান কতটা প্রাসংগিক, কতটা বাস্তবমূখি?
"ও কাইয়ে ধান খাইলরে
খেদানোর মানুষ নাই
খাওয়ার বেলায় আছে মানুষ
কামের বেলায় নাই
কাইয়ে ধান খাইলরে

ওরে ও পাড়াতে পাটা নাই পুতা নাই
মরিচ বাটে গালে
ওরা খাইলো তাড়াতাড়ি
আমরা মরি ঝালে
কাইয়ে ধান খইলরে.."

সত্যি, গত নির্বাচনে আওয়ামী কাউয়া দেশের গনতন্ত্র ধান খেয়ে ফেলেছে। যখন গনতন্ত্রের জন্য কাউয়া খেদানো দরকার, তখন গনতন্ত্রের উৎসবের আবির বৃহৎ প্রতিবেশীর গালে, আর তাতেই আমরা মরছি গনতন্ত্র প্রেমের ঝালে!

প্রিয় কান্ট্রিমেট, প্লিজ ওয়েক আপ.....
খোকা ঘুমালে পাড়া জুড়াবে ঠিকই, কিন্তু খোকার বাপে ঘুমালে দেশটা বর্গিদের দখলে চলে যাবে! তখন কাউয়ায় ধান খেয়েছে বলে খাজনার টাকা দিতে অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তি রসুনের ওপর...

দেশের জন্য তা হবে এক অনন্ত আক্ষেপ!!