বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৩

সত্য সেখানে চাপা পড়বেই

বিশ্বাসীরা তো বিশ্বাসী বটেই,
এতদিন যারা বলেছে অবিশ্বাস দীর্ঘজীবি হোক-
তারাও বিশ্বাস এনেছে প্রশ্নবিহীন অনুগত্যে!
বিশ্বাস এনেছে আবেগের অতিশয্যে....


আসলে ব্যাপারটা হলো-
মতাদর্শ প্রচারই যেখানে চুরান্ত লক্ষ্য
যুক্তি যেখানে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করার যন্ত্র
ভন্ডামি যেখানে সুশিলতার পরিচায়ক
সত্য সেখানে চাপা পড়বেই....

আর চাপা পড়া, বিচ্ছিন্ন হওয়া,
সে সত্যের গলিত লাসের ফসিল
আবেগ, বিশ্বাস আর মতাদর্শের ফর্মায় ফেলে
হয়ে যাবে চিরন্তন!!!
পূজারিরা মাথা ঝুকাও....

সত্যের পচে  যাওয়া, গলে যাওয়া
মাংসপিন্ড, কখনো ভারী করবে বাতাস,
সে দুর্গন্ধময় বাতাসও চাপা পড়বে-
ব্যাক্তি পূজারিদের,
ধুপ আর আগরবাতির কৃত্তিম সুবাসে


পূজারিরা মাথা ঝুকাবে...
মাথা ঝুকাবে- প্রশ্নবিহীন অনুগত্যে!
মাথা ঝুকাবে- আবেগের অতিশয্যে....

শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৩

নিশ্চিন্ত প্যাকেজ রকস! জনগন শকস!!



দেশের সবকিছুই এখন চলছে, গ্রামীনফোনের নিশ্চিন্ত প্যাকেজে!
মাছের বাজার থেকে শেয়ার বাজার, আক্কেল ডেন্টাল থেকে কুইক রেন্টাল, ঝাকুনির হেতু থেকে পদ্মা সেতু!
এছাড়াও শিবিরের চোরাগোপ্তা হামলা, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোর সাজানো মামলা!
তত্বাবধায়ক ইস্যু আর তা ঠেকেনোর জন্য সংশোধনী টিস্যু!
ধ্বসে পড়া শ্রমিকের লাশ, আর তার ওপর দাড়িয়ে রাজনৈতিক উপহাস!
সবকিছুই চলছে নিশ্চিন্ত প্যাকেজে......
তবে এ নিশ্চিন্ত প্যাকেজের ব্যান্ড অ্যামবাসেডর সম্ভবত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত!
শেয়ার বাজারে যখন কোটি কোটি টাকা লুটে নেয়া হলো, তিনি ছিলেন নিশ্চিন্ত! বললেন- "এ বাজার দুষ্টু বাজার"!
হলমার্ক কেলেংকারিতে দেশের ব্যাংকি খাত যখন টালমাটাল, তিনি তখন নিশ্চিন্ত প্যাকেজের মোড়ক খুলে বললেন-"চার হাজার কোটি টাকা, এটা কোন বড় অঙ্কের অর্থ নয়। এ নিয়ে হৈচৈ করারও কিছু নেই”!
সাভারে ভবন ধ্বসে যখন ৫২৮জন(এখন পর্যন্ত প্রকাশিত) নির্মম ভাবে মারা গেল, নিশ্চিন্ত প্যাকেজের বড় বিজ্ঞাপনে তিনি বললেন-"সাভারের ঘটনা তেমন বড় কিছু নয়"!

নিশ্চিন্ত, সবই নিশ্চিন্ত! জমি-জিরাত বিক্রি করে, বাপের পেনশনের টাকা ভেঙ্গে, মায়ের বিয়ের বালা বিক্রি করে শেয়ার বাজারে সরকারের দুষ্টুমিতে পুঁজি হারিয়েছি, তবুও মেনে নিয়েছি.....
আমাদের ট্যাক্সের টাকায় গড়ে ওঠা রাষ্ট্রীয় ব্যাংক থেকে হাজার কোটি লুটে নিলো হলমার্ক, তবুও চার হাজার কোটি টাকা বড় কিছু নয় ভেবে সহ্য করেছি এ কথা ভেবে - যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়নে একদিনেই ব্যয় হয় ২ লাখ ১৪ হাজার টাকা! সে দেশে হয়তো চার হাজার কোটি সত্যি বেশি কিছু নয়!
কিন্তু আমার ভাই, বোনেরা যখন স্বার্থের ক্রংকিটে চাপা পড়লো! লাশের সংখ্যা যখন সেঞ্চুরির রেকর্ডের পর রেকর্ড ভাঙ্গলো! অন্তত প্রিয়জনের শরিরের একটুকরা গলিত মাংস পিন্ডের জন্য, এক বিকৃত অবয়বে একমুঠো মাটি দেবার জন্য, রাতের পর দিন, বৃষ্টিতে ভিজে রোদে শুকালো! সেই শোকের ওপর দাড়িয়ে, চার অংকের(!) লাসের, ক্ষতবিক্ষত শরির আর বিক্ষত হৃদয়ের ওপর দাড়িয়ে- আমি কি করে নিশ্চিন্ত হবো? অর্থমন্ত্রীর বেহুদা কথায়, কিছুই হয়নি মেনে নেবো?

নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমি আর কত নিশ্চিত হবো? আমি আর কত বেহায়া হবো?