শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৩

হয়তো ওদেরই ভুল!!!



হয়তো ওদেরই ভুল!
নয়তো কেনই বা, অঁজপাড়া গাঁয়ের রহিম কিংবা রহিমা
নুন্যতম সন্মান আর সমৃদ্ধির জন্য আসে লাশ হতে!

তাগড়া যুবক রহিম কিংবা করিম,
গৃহস্থের কামলা হয়ে কিংবা রিক্সার প্যাডাল ঘুরিয়ে
বেশ ভালোই খেয়ে পড়ে, বেঁচে থাকতে পাড়তো...
হতাশ কেউ কেউ,
অভাবে স্বভাব নষ্টে...
করতে পারতো সিঁধেল চুরি কিংবা অন্যের পকেট সাফাই...

সদ্য কিশোরী রহিমা কিংবা সকিনা,
অভাবের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যার
বুক আর শরিরের বাঁক...
বিকাশমান গতরের খাটুনিতে
বুয়া বেশে,
গৃহকর্তৃর আড়ালে গৃহকর্তার টিপ্পুনি হজম করে
কেটে যেতে পারতো, নিরবতাময় এক নিরব জীবন।
কেউ কেউ অভাবি যৌবনে,
বাঁকা শরিরের সাথে চরিত্রকে বাঁকিয়ে-
বস্ত্রহীন বুকটা আরেকটু উন্মুক্ত করে-
ক্ষুধার্ত পেট ভরানোর পাশাপাশি
আরেকটু লোভে নিজেকেই ভরাতে পারতো
লোলুপ ষাঁড় কিংবা পাঁঠার ঐরশে...

তবুও তারা বেঁচে থাকতো
বেঁচে থাকতো, কামলা কিংবা বুয়া হয়ে
চোর কিংবা বেশ্যা হয়ে-

যে মেয়েটির বুকে ভেঙ্গেছে, কংক্রিটের দেয়াল
রং-চং মেখে সন্ধ্যায়, সংসদের কোণায় দাঁড়ালেই
সে বুক আজ শিহরিত হতো লম্পটের নরম ঠোঁটে।
আঘাতে বিচ্ছিন্ন হয়েছে যে ছেলেটির হাত
লোকাল বাসের ভিরে, পকেট সাফাইয়ে
সে হাত আজ খুঁজে নিতো সারাব আর সাবাব।

হয়তো ওদেরই ভুল!
ওরা কামলা হয়নি, ওরা বুয়া হয়নি
চোর কিংবা বেশ্যাও হয়নি...
সন্মানজনক জীবিকায় যারা বাঁচতে চেয়েছে,
সুই-সুতোর বুননে, স্বপ্ন বুনতে চেয়েছে...
অথচ স্বপ্নের প্রাসাদই তাদের ওপর ভেঙ্গে পড়েছে,
তাদের নির্মম মৃত্যু হয়েছে...

হয়তো ওদেরই ভুল!
চোর হলে যে সমাজে বেঁচে থাকা যায়,
বেশ্যা হলে যে সমাজে টিকে থাকা যায়,
সে সমাজে সন্মান নিয়ে বাঁচতে চাওয়াটা ভুল
নয়তো এ সমাজে জন্ম নেয়াটাই,
ওদের ভুল!

বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৩

আওয়ামী অবমাননার ব্লাসফেমি!!!

'আমার দেশ' আমার নিয়মিত পঠন তালিকায় না থাকলেও দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত পাঠ্য হয়ে উঠেছিলো..
এ কথা ঠিক যে, আমার দেশ পত্রিকা এবং সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের অনেক ভুমিকাই ছিলো দলীয় পক্ষপাতে দুষ্ট, এক কথায় অখাদ্য...
আবার এ কথাও ঠিক যে, সরকারের সৈরাচারি আচরনে যখন অন্যান্য পত্রিকাগুলো সুশিল পক্ষপাতের ব্যালান্স চেষ্টায় সেলফ সেন্সরশীপে যাচ্ছিলো, তখন মাহমুদুর রহমান জাউরামির বিপরিতে অধিক জাউরা হয়ে খেলছিলো....
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উক্তি প্রাসংগিক ভাবেই এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে-
"ভদ্রলোকের সাথে ভদ্রলোকের মত করেই খেলো ; কিন্তু জাঊরার সাথে খেলার সময় মাথায় রেখো - তুমি যাতে বড় জাউরার মত করে খেলতে পারো ; নইলে তুমি হেরে যাবে"। "প্লে লাইক অ্যা বিগার বাস্টার্ড উইথ এ বাস্টার্ড!"
তাই বুনো ওলের বিপরীতে কখনো কখনো কিংবা সবসময়ই বাঘা তেঁতুলের দরকার হয়। মাহমুদুর রহমানও জাউরা বুনো ওলের বিপরীতে অধিকতর জাউরা বাঘা তেঁতুল! আর তাই সরকার, সরকারপন্থী, বাঘা তেঁতুলের টকে মুখের রুচি নষ্ট হওয়া মানুষ, দলীয় সংকির্নতায় বিরক্ত হওয়া এবং আমার দেশের দলীয় সংকির্নতায় বিরক্ত হওয়া মানুষগুলোর বিরাগ ভাজন হয়েছে মাহমুদুর রহমান ও দৈনিক আমার দেশ। এবং অনেক দেরিতে হলেও ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্নু সরকার মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে, এবং আমার দেশের প্রেস সিলগালা করে দিয়েছে ফলে অবধারিতভাবে বন্ধ হয়ে গেছে আমার দেশ।

কিন্তু আমি অবাক হয়েছি, মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করতে ভিন্নমত দমনে আগ্রাসি সরকার এতো সময় নিলো কেন? সরকারের আচরন পর্যালোচনা করলে এ গ্রেফতার আরো আগেই হওয়ার কথা ছিলো.....

এ কথা সত্যি যে, মাহমুদুর রহমান গ্রেফতারের উর্ধে কেউ নন। সে যদি অপরাধ করে থাকে তো গ্রেফতার অস্বাভাবিক কিছু নয়। এখন দেখার বিষয় মাহমুদুর রহমানের অপরাধ গুলো কি কি....
অপরাধ এক-ব্লগারদের লেখা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশ করে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত।
অপরাধ দুই-বিচারপতির স্কাইপি কথোপকথন প্রকাশ।
অপরাধ তিন-আদালত, সরকার, টাইব্যুনালসহ নানা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লেখালেখি।
অপরাধ চার- কাবা শরীফের গিলাফ পরিবর্তন নিয়ে যে মিথ্যাচার।
ইত্যাদি ইত্যাদি....................

এ গ্রেফতারে প্রসংগে সরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যও উল্লেখযোগ্য- “আমরা বাধ্য না হলে কাউকে গ্রেফতার করি না। আর মাহমুদুর রহমানকে আগের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা তাকে গ্রেফতার করতে চাইনি, কিন্তু তিনি আমাদের বাধ্য করেছেন।”

লক্ষ্যণীয়, মাহমুদুর রহমান তার নিজেকেই গ্রেফতার করতে সরকারকে বাধ্য করেছেন। অথচ যে অভিযোগ গুলোয় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সবই পুরোনো!!! তা হলে তিনি কি করে বাধ্য করলেন???
এ প্রশ্নটাই সম্ভবত এ গ্রেফতারের বড় টুইস্ট! গ্রেফতারের দিন (১১ই এপ্রিল'১৩) "আমাদের দেশ" এর শিরোনাম- "উইকিলিকসে শেখ মুজিবের শাসনকাল"।


যে সময় নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগা আওয়ামীলীগ সরকার যে পুরানো ধর্ম অবমাননায় ব্লাসফেমি তে না গিয়ে, উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে আজকের আমার দেশে প্রকাশ হওয়া আওয়ামী অবমাননায় ব্লাসফেমিতে বাধ্য হবেন এটাই স্বাভাবিক।

আমি আশা করছি, মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার মাধ্যমে হীনমন্যতায় ভোগা এ আহত আওয়ামী অনুভূতি আবার চাঙ্গা হবে, এবং আমার দেশ বন্ধ করার মাধ্যমে তা পূর্নতা পাবে।

অভিনন্দন সরকারকে- তাদের জাউরা খেলার অতি জাউরা এক প্রতিপক্ষ কমাতে পারার জন্য। কিন্তু আশংকার কথা হলো- মূল আশংকার কথা গুলো রয়েছে বন্ধ করার দিনে আমার দেশে ধারাবাহিক ছাপানোর ঘোষনা দেয়া উইকিলিকসে! কি রয়েছে সে ই উইকিলিকসে?
১৬ আগস্ট'৭৫ বঙ্গবন্ধু হত্যার পরের দিন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠানো এক তারবার্তায় ডেভিস বোস্টার উল্লেখ করেন, "নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হলো, যা সর্বোপরি মুজিব এবং বাঙালি জাতির মধ্যকার বিচ্ছিন্নতাকে নির্দেশ করে। বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো পরিপূর্ণ করতে ব্যর্থ, নিজেকে রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলার উদ্দেশ্য, রাজনীতি এবং ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে রাখার স্বচ্ছ উচ্চাভিলাষই তার ও বাঙালি জাতির মধ্যকার বিচ্ছিন্নতার মূল কারণ। এভাবেই মুজিব তার পরামর্শকারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।"

জন বিচ্ছিন্নতার পরিনাম ভয়াবহ হয়, দুই এক জন ভিন্ন মতাদর্শী গ্রেফতার করে চক্ষু মোদা যায় কিন্তু প্রলয় বন্ধ করা যায় না।

রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৩

যে প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার....


আব্দুর রব সিদ্দিক রানা।
বয়স ২৫ বছর। সরকারী এডওয়ার্ড কলেজে অর্থনীতির অনার্সের ছাত্র ছিলো। বছর খানেকের মধ্যেই যার অনার্স সম্পন্ন হতো। হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই ভালো একটি চাকরীও জুটে যেতে পারতো.....
পড়াশোনার পাশাপাশি, চাটমোহর রেজেস্ট্রি অফিসে কাজ করতো রানা। কিছুদিনের মধ্যে যার লাইসেন্স হবার কথা ছিলো। তাই ভালো কোন চাকরী না পেলেও বেশ ভালো ভাবেই তার জীবনটা চলে যেতে পারতো। যে জীবনে কোন অনিশ্চয়তা ছিলো না......

অথচ এ নিশ্চিন্ত জীবনটাই আজ সবকিছু পেছনে ফেলে, অনিশ্চিত এক জীবন এবং জগতে চলে গেছে!!!
কিন্তু কেন? এ বয়সে, এভাবে কেন চলে যেতে হবে?
এ কি প্রচন্ড অভিমান? নিদারুন হতাশা? প্রতারিত বেদনা? একই সাথে ছেলে মানুষি আর বোকামী...

এ কথা সত্যি যে, জীবনে এমন সময় আসতে পারে যখন সবকিছু তুচ্ছ হয়ে যায়, জীবন যখন মূল্যহীন হয়ে যায়, বেঁচে থাকা যখন অর্থহীন হয়ে পড়ে!
রানার ক্ষেত্রেও কি এমন সময় এসেছিলো? নাকি হতাশাময় সময়ের অতিমূল্যায়নে জীবনের অপচয় করেছে রানা?
এ অবধারিত প্রশ্নই, এক প্রানচ্ছোল তরুনের অকাল মৃত্যুতে শোকের পাশাপাশি তারুন্যের পিছলে পড়া মনোঃসমিক্ষনকে গুরুত্বপূর্ন করে তোলে। যে মনোঃসমিক্ষন, একটি নির্দিষ্ট বয়স থেকে কোন ছেলেকে কোন মেয়ের দিকে কিংবা কোন মেয়েকে কোন ছেলের দিকে টানে। যখন জীবনের অর্থ, সৌন্দর্য্য, সার্থকতা এককেন্দ্রিক হয়ে পরতে পারে! যখন জীবনের অপরাপর সুখ, স্বপ্ন, সফলতা অযৌক্তিকভাবেই মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে!
হয়তো রানার ক্ষেত্রেও এমনটিই হয়েছিলো!!!
যে মেয়েটিকে ভালোবেসেছিলো রানা। মেয়েটিও ভালবেসেছিলো রানাকে! দিন, মাস, বছরের হিসাবে যে সম্পর্কটি দীর্ঘ সময়ে গড়িয়েছিলো। মেয়েটি হঠাৎ করে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো! প্রত্যাহার করেছিলো- ভালোবাসা থেকে, স্বপ্ন থেকে, একটি পরিনতি থেকে......
মেয়েটির এ অবস্থানে হয়তো, পারিবারিক এবং সামাজিক সংগত কারন থাকতে পারে! কিন্তু এ সংগত কারন ও আপত সঠিক সীদ্ধান্ত নেবার আগে কেটে গেছে ৪-৫ বছর! যে সময়ে তৈরী হয়েছে অনেক সুখস্মৃতি, লেনদেন হয়েছে অজস্র প্রতিশ্রুতি। সে সময়ে তৈরী হওয়া আস্থা, বিশ্বাস, মানুষিক নির্ভরতাকে কোন ভাবেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
একটি ছেলে কিংবা মেয়ের জীবনে এমন আকর্ষিক বিপরীতমূখি সীদ্ধান্ত যে কি ভয়াবহ মানষিক প্রতিক্রিয়া তৈরী করতে পারে, তার এক ভয়াবহ সর্বোচ্চ রুপ আমরা দেখলাম রানার ক্ষেত্রে।

আমি আশা করছি- প্রেম প্রত্যাশি কোন তরুন, এবং সম্মতির হাসি হাসার আগে কোন তরুনী এ বিষয়গুলো মাথায় রাখবে। যারা প্রেম করবে জীবনকে অর্থবহ করার জন্য, জীবনকে মূল্যহীন করার জন্য নয়।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, রানাতো জীবনকে অর্থবহ করতে চেয়েছিল, তবে তার এমন পরিনতি কেন?
মূলত, রানার তীব্র ভালোবাসার বিপরিতে মেয়েটির আবেগীয় পর্যায়ের ভালোবাসা অবধারিতভাবে বিচ্ছেদের দিকে গড়িয়েছে! যা কিনা রানার মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘ দিনের প্রেম ভেঙ্গে যাওয়া, কাছের মানুষকে না পাওয়া, তাকে নিয়ে তৈরী হওয়া স্বপ্ন জগত ভেঙ্গে যাওয়ায় যে হতাশার তৈরী হয়েছে। যা সময়ের ব্যবধানে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এ হতাশাকে, অপ্রাপ্তির বেদনাকে কন্ট্রোল করতে না পারা। ছেলে মানুষি অভিমানে, জীবনের মূল্য হারিয়ে ফেলার বোকামিতেই ঘটে গেছে এমন বাজে পরিনতি! তৈরী হয়েছে শূন্যতা, শূন্যতা তৈরী হয়েছে বাবা-মা, ভাই-বোন, নিকট স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের হৃদয়ে......

আমি ভাবছিলাম, প্রকৃতি তো শূন্যতা পছন্দ করে না। রানার অকাল মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরী হয়েছে তা কি কখনো পূরন হবে?
এ কথা ঠিক যে, আবার সবকিছু আগের মতোই চলবে! কিন্তু রানার মা-বাবা মনে যে শূন্যতা তৈরী হয়েছে তা কখনোই পূরন হবে না! প্রতিনিয়তই বিষয়টি তাদের কাঁদাবে, তাদের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়বে...
বন্ধুরা আবার আগের মতোই আড্ডা দেবে! মুখরিত আড্ডার এক পর্যায়ে হঠাৎ সবাই নিরব হয়ে যাবে, "ইশ আজ যদি রানা থাকতো"!

বোকা রানা, একজনের ভালোবাসাহীনতায় জীবনের মূল্য হারিয়ে ফেললো! অথচ মা-বাবার চোখের জলের মূল্য, বন্ধুদের নিরবতার মূল্য সে বুঝলোই না! বুঝলো না, জীবনের দু-একটি অধ্যায় বাদ দিলে জীবন অনেক সৌন্দর্য্যময়, অনেক অর্থবহ......


লেখাটি এখানেই শেষ হতে পারতো!!!
লেখাটি লিখেছিলাম- রানার মৃত্যুর পরের দিন।

সে সময় আমার ধারনায়, বেদনাদায়ক এ ঘটনার ব্যাখ্যা ছিলো- মেয়েটির নিজেকে প্রত্যাহার করার ফলশ্রুতিতে এটা রানার ভয়াবহ মানুষিক প্রতিক্রিয়ায় জীবনের অপচয়!
একটি জীবন এভাবে অকালে ঝড়ে যাওয়ার তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় এটাই ছিলো আমার, হয়তো অনেকেরই এক লাইনের মূল্যায়ন!
কিন্তু জীবন অনেক বড়। জীবনের অনেক কিছুই অনেকের কাছেই অজানা থেকে যায়। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই উঠে আসে যা স্বাভাবিকতার সাথে যায় না, তাৎক্ষনিক ভাবে নির্মোহ বিশ্লেষনও করা যায় না!

বিশ্লেষন করা যায় না বলেই, তাৎক্ষনিকভাবে মেয়েটির বিপরীতমূখি অবস্থানকে প্রত্যাহার বলতে হয়! প্রতারনা বলা যায় না।
কিন্তু এটা প্রত্যাহার ছিলো না, এটা ছিলো প্রতারনা!
একটি সম্পর্ক সেটা যত দীর্ঘই হোক, বাস্তবতার নিরিখে প্রত্যাহার মেনে নেয়া যায় কিন্তু প্রতারনা কখনোই না।
নিজেকে প্রত্যাহার করার পেছনে থাকতে পারে পারিবারিক ও সামাজিক সংগত কারন। কিন্তু প্রতারনার পেছনে সংগত কারন থাকে না। প্রতারনা সংগঠিত হয় একজনকে প্রতারিত করে, নিঃস্ব করে।
রানাও প্রতারিত হয়েছিলো, নিঃস্ব হয়েছিলো!
যে মেয়েটিকে ভালোবেসেছিলো রানা। গত জানুয়ারীতেই সে ১৮ বছরে পা দিয়েছে। দীর্ঘ দিনের আস্থা, বিশ্বাস, মানুষিক নির্ভরতায় তারা যে চুরান্ত পরিনতির দিকে এগোচ্ছিলো তা এ জানুয়ারীকে ঘিরেই।
কিন্তু পরিনত বয়স আর পরিনতির কাছাকাছি এসেই মেয়েটি হঠাৎ নয় বরং ধিরে ধিরে পাল্টাতে থাকে। পাল্টায় তার রিলেশন স্ট্যাটাস, শো করতে থাকে রাতের পর রাত ওয়েটিং। তারপরও বিভিন্ন অযুহাতে চলতে থাকে ভালোবাসার অভিনয়। স্বপ্ন গড়তে থাকে, কিংবা স্বপ্ন গড়ার সহযোগী হয় পরিনত বয়সের পরিনতির।
কিন্তু পরিনত বয়সে এসেই মেয়েটি পরিপূর্ন পাল্টে যায়! আর তত দিনে বিয়ের একরকম গোপন প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলো রানা। বানিয়ে ফেলেছিলো বিয়ের পোশাক!
একটি ছেলের এভাবে স্বপ্ন জগৎ ভেঙ্গে যাওয়ায় জীবনের মূল্য হারিয়ে ফেলা, কি খুবই অস্বাভাবিক?
বিষয়টি স্বাভাবিক কি অস্বাভাবিক, স্বাভাবিক হলেও কতটুকু স্বাভাবিক? এ প্রশ্নের চেয়েও বড় প্রশ্ন-
মেয়েটি পরিনয়ের জন্য আইনসিদ্ধ বয়স ১৮তে পা দিয়েছিলো জানুয়ারীর মাঝামাঝিতে। ধারনা করা যায়, প্রতিশ্রুত বিয়ের জন্য রানা চাপ দিয়েছিলো তখনই এবং মেয়েটিও চুরান্ত প্রতারনা করেছিলো সে সময়েই! অর্থ্যাৎ প্রেমটা ভেঙ্গেছিলো জানুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে! হতাশাগ্রস্থ আবেগে রানার আত্বহত্যা করলে তো সে সময় করার কথা! কিংবা সেটা হতে পারতো ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে, মার্চের শেষ সপ্তাহে কেন? এত দীর্ঘ সময় ধরে কি আত্বহত্যার মতো আবেগ ধরে রাখা যায়? কি ঘটেছিলো মধ্যবর্তি এ সময়ে? কি ঘটেছিলো শেষ সময়ে?
শেষ সময়ের কথা আসলে, যে কথাটি যোগ করা দরকার- রানার লাশ পাওয়া গিয়েছিলো রাজশাহীর পদ্মার চরে!
আমি ভাবছিলাম- আত্বহত্যার জন্য তো চাটমোহরেই অনেক জায়গা আছে! সেটা রেখে রাজশাহী কেন? এর একটা সরল জবাব হচ্ছে- মেয়েটি রাজশাহীতে পড়তো, সম্ভবত এ কারনেই!
তার মানে মেয়েটির সাথে শেষ মুহূর্তে রানার যোগাযোগ হয়েছিলো! কি ঘটেছিলো সে সময়?

আমি মনে করি এ প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার। এ প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার সেই বাবা-মার জন্য যারা সন্তান হারিয়েছেন. সেই ভাই-বোনের জন্য যারা ভাই হারিয়েছেন, সেই শুভাকাংক্ষির জন্য যারা বন্ধুদের হারিয়েছেন...তারা সবাই যা হারিয়েছেন তা আর কখনোই ফিরে আসবে না! তবে এ প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার যে উত্তর অন্তত সান্তনা নিয়ে আসবে....
এ প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার, সমাজের জন্যও! যেন আর কোন ছেলে ও মেয়ের জীবনে এমন না ঘটে.......

বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৩

দুটি কবিতা

বাংলাদেশ, তুমি কোনদিকে যাবে?

বাংলাদেশ তুমি কোন দিকে যাবে?
একদিকে গনতন্ত্র নামের সৈরাতন্ত্র!
অন্যদিকে গনতন্ত্রের ব্যর্থতায় সামরিক শাসন!

বাংলাদেশ, তুমি কোনদিকে যাবে?
একদিকে গনতন্ত্রের লাঠিয়াল পুলিশি শাসন!
অন্যদিকে গনতন্ত্রের ব্যর্থতায় সেনা শাসন!

বাংলাদেশ, তুমি কোন দিকে যাবে?
কোন দিকে যাবে? প্রিয় স্বদেশ আমার?

ভাববাদী মনে বৈধ হয় সব!

বিষ, বিষই.....
সেটা প্রিয়তমার হাতেই হোক কিংবা শত্রুর হাতে..
ভরা পেটেই হোক কিংবা খালি পেটে..
মদ, মদই.....
সেটা পুরান বোতলেই হোক কিংবা নতুন বোতলে..
রেড ওয়াইনই হোক কিংবা দেশি চুয়ানি...
হরতাল, হরতালই...
সেটা জামায়াতের হোক কিংবা বাংলাদেশ ইসলামী জোটের...
হেফাজতে ইসলামের হোক কিংবা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের...

কিন্তু হায়! ভাববাদি মন,
প্রিয়তমার হাতের বিষকে অমৃত ভাবায়!
বিদেশী দামি পানীয়কে হালাল করে!
শত্রু মিত্র বিবেচনায় হরতালকেও জায়েজ করে...

মুহূর্তের মন্তব্যমালা

রং বিহীন সরকার আর বিরোধী দলের ফ্রাই কার্ড!!
রাজনীতির মাঠের দক্ষ খেলোয়ার বিবেচিত আওয়ামীলীগ, বিরোধী দল আর বিরোধী মত দমনে ৫২ কার্ডের ৫৩ ফর্মূলা প্রয়োগ করে ফেলেছে! সাথে সাথে সুশাসন, দক্ষতা আর কৌশলের সকল রং শেষ করে ফেলেছে......
সর্বশেষ রং, গনজাগরনের শক্তিকে ট্রামকার্ড বানালেও নাস্তিকতার ওভারট্রামে ধরা খেয়েছে!!!
মাঠে আর রং নাই, বিরোধী পক্ষ এখন শুধুই ফ্রাই খেলবে-
পদ্মা সেতু দূর্নীতি- ফ্রাই
হলমার্ক কেলেংকারি- ফ্রাই
কুইক রেন্টাল দূর্নীতি- ফ্রাই
শেয়ার বাজার কেলেংকারী- ফ্রাই
পুলিশের গুলিতে গনহত্যা- ফ্রাই
কালো বিড়াল দূর্নীতি- ফ্রাই
ইত্যাদি, ইত্যাদি- ফ্রাই
বিরোধী দলের এমন শক্তিশালি ফ্রাই কার্ডের পাশাপাশি ২-১ টা হরতন কিংবা রুইতনে ২, ৩ এর ওপরও যে সরকারকে ২-১ টা টেক্কা অসহায়ের মতো পাশাতে হবে এটাই স্বাভাবিক!
আর তাইতো, তারুন্যের শক্তিকে ব্যবহারের বাসনায় পুলিশি নিরাপত্তা, বিরিয়ানির প্যাকেট, পানি, টয়লেটের সুব্যাবস্থায় বেড়ে তোলা "গনজাগরন মঞ্চ" বন্ধ করার পথ খুঁজতে হচ্ছে! বড় পিরিতের বড় দুর্গতিতে, ব্লগারদের গ্রেফতার করে হেফাজতে ইসলামের মান রক্ষার চেষ্টা চলছে.....

উপায় নাই গোলাম হোসেন! শাসন ক্ষমতা ৩ কার্ডের জুয়া না! ৫ বছরের সমর্থনের পাঁচ দশ দুই ৫২ কার্ডের হিসাবের খেলা! অপরিনত রাজনীতির বেহিসাবী রং খরচের মাশুল সরকারকে গুনতেই হবে........সামান্যতম ফ্রাইয়ের বিপরিতে মূল্যবান অনার্স পাশাতেই হবে। আর এ খেলার সর্বশেষ ট্রাজিক পরিনতি সম্ভবত এটাই হবে যে- হাতে রাখা তত্তাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের টেক্কা রং বিহিন অসহায় সরকারকে নিরুপায় হয়েই জলান্জলী দিতে হবে। কারন, খেলার মাঠের নিয়ন্ত্রন এবং জনগন কোনটিই আর সরকারের নিয়ন্ত্রনে নেই!!!


পাগলের বর্নমালা!!!
জামাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেন মূলত জামায়াতের পৃষ্টপোষকতা! কারন এতে আর্থিকভাবে জামায়াত লাভবান হয়, শক্তিশালি হয়.....

এ কথা যদি যদি আমি বিশ্বাস করি- তো আমাকে এমন লেনদেন বন্ধ করতে হবে। এ চিন্তা যদি আমি সমর্থন করি তো আমাকে বলতেই হবে-
মৌলবাদকে সমর্থন দেয়া, মৌলবাদকে শক্তিশালি করার যে কোন প্রচেষ্টা, মৌলবাদের পৃষ্টপোষকতার নামান্তর।
এখন প্রশ্ন হলো- ভোটের রাজনীতির হিসাব নিকাসে, ৮৫% মুসলিম অধ্যাসিত ভোটারের অনুভুতি বিকাশে আওয়ামীলীগ সরকার যে হেফাজতে ইসলামের হেফাজত আর খেদমত করে যাচ্ছে তা কি মৌলবাদকে শক্তিশালি করছে না? মৌলবাদকে শক্তিশালি করার এ প্রচেষ্টা কি মৌলবাদের পৃষ্টপোষকতা নয়?

আমার দুঃখ হয়- গনজাগরন মঞ্চ প্রশ্নবিহীন অনুগত্যে টিভি ক্যামেরার সামনে পড়ে আছে গনজাগরনের মিডিয়া সেন্টারে! ক্লান্ত হয়ে পড়েছে লাকি আক্তার! হুমায়ুন আহমেদের "তুই রাজাকার" বলা তোতা পাখি এখন স্যারের সর্বশেষ বইয়ের রয়্যালিটির হিসাব নিয়ে ব্যাস্ত! আর যেভাবে ব্লগ ব্লক আর ব্লগারদের গ্রেফতার শুরু হয়েছে, সেখানে তোতা পাখিও বোঝে শাষকের চোখের ভাষা.....
এখন শুধু হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান আন্ডারসনের রুপকথার সেই পাগল দরকার, যে চোখের মাথা খেয়ে নিজেকে সৎ প্রমানে নিয়োজিত না হয়ে বলতে পারবে- রাজা ন্যাংটা!!!
যে পাগল উদ্যাম তারুন্যের মাঝে শেখাবে নতুন বর্নমালা-
ব তে বিএনপি-
তুই মৌলবাদের দোসর, তুই মৌলবাদী.....
আ তে আওয়ামীলীগ-
তুই মৌলবাদের পৃষ্টপোষক, তুই মৌলবাদী....

রসুনময় রাজনীতি!!
রাজনীতির এ রুপ দেখে দেখে আমি ক্লান্ত!
সরকার না হয় হেফাজতে ইসলামের হেফাজত আর খেদমতে নিয়োজিত হয়েছে...নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো মাথায় কালো পট্টি আর হাতে তসবি নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে...
কিন্তু সরকারের হেফাজতদারী আর খেদমতদারীর আড়ালে যে বাক আর ব্যাক্তি স্বাধীনতায় আঘাত আসলো তাতে বিরোধীদলের অবস্থান কি?
ওহহ..সরি..সরি...এদের মাথায়তো আগেই পট্টি বাঁধা! আর ওরা তো নাস্তিক! ওরাই বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা!
বাক স্বাধীনতার হেফাজতে না হোক, আবেগীয় রাজনীতির হেফাজতে এখন নিরব থাকায় শ্রেয়! নিরবতা যে হিরনময়..
আসলেই, রাজনৈতিক মাফিয়াদের রাজনীতি রসুনময়...
আলাদা কোয়া, তবে এক গোয়া!!

বিটিআরসির গুন্ডামি আর সরকারের ভন্ডামি!!!
বিটিআরসির গুন্ডামি আর সরকারের ভন্ডামিতে শেষ পর্যন্ত আমার ব্লগ বাংলাদেশে ব্লক করা হয়েছে!!
নিয়ন্ত্রনের নামে এ গুন্ডামি, এ ভন্ডামির অর্থ কি???
এর সাথে যোগসাজস রেখেই কি- তিন স্বনামধোন্য ব্লগারকে(সুব্রত শুভ, রাসেল পারভেজ, মশিউর রহমান বিপ্লব) ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছে!

হঠাৎ করে এমন ঘটনার ব্যাখ্যা কি?
লক্ষ্যনীয়, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে গনজাগরন মঞ্চ বন্ধ করার মত, আমার ব্লগ বন্ধ, ব্লগারদের গ্রেফতার পাশাপাশি ঘটছে। ইসলামি দলগুলোর ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ যত এগিয়ে আসছে সরকার ততই নিজেদের বড় আস্তিক এবং নাস্তিক ব্লগারদের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নাই প্রমানে মরিয়া হয়ে উঠছে......

ধানাইপানাই বাদ দেন- ভোটের রাজনীতির সহানুভুতির জন্য ধার্মিক হতে চাইলে হন, প্রয়োজনে আবার মুসলমানি করিয়ে, আকিকা দিয়ে আওয়ামি মুসলিম লীগে ফেরত যান। কোনো সমস্যা নাই............
কিন্তু হুজুরদের খুশি করার জন্য, ব্লগ এবং ব্লগারদের সাথে পিরিত নাই দেখানোর জন্য- স্বৈরাচার হয়ে উঠবেন না। আগুনে হাত দেবেন না। বাকস্বাধিনতার এ আগুনকে নেভানোর চেষ্টা করবেন না।
এ আগুনে হাত দিলে, হাত পুড়ে যাবে...
এ আগুন নেভাতে চাইলে, দ্বিগুন হয়ে জ্বলবে....
এখনও সময় আছে ব্লগ এবং ব্লগারদের ভোগান্তি বন্ধ করুন, আগুন থেকে হাত সরিয়ে নিন...

রহস্যময় স্প্রিপ্ট!!!
চিনির মতোই স্ক্রিপ্ট বড়ওও রহস্যময়!!!
দুদিন আগেও গনজাগরন মঞ্চের যে স্ক্রিপ্ট ছিলো দিত্বীয় মুক্তিযুদ্ধের ইশতেহার, আজ সে বক্তব্যের স্কিপ্ট স্পর্ধা!!!
এখানেই রয়েছে চিন্তাশীলের জন্য নিদর্শন....
শেখ হাসিনা বলেছেন-"'সরকারের স্পর্ধা নিয়ে প্রশ্ন তোলার স্পর্ধা গণজাগরণ মঞ্চ পায় কোথায়? তাদের বক্তৃতার ড্রাফট কে লেখে, তার খোঁজ লাগান?'
এ কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে?? যার মন ছুটে যায় শাহবাগে এ কথা বলে সে আজ কোন দুঃখে???


দি নিউ সুশিল বাংলা সার্কাস!!
রাজনীতির পাশাপাশি সুশিলতাও এখন আজব সার্কাস!!!
"দি আওয়ামী সার্কাস"......"জাতীয়তাবাদি সার্কাস".....রাজনৈতিক ভারদের সমন্বয়ে এমন রাজনৈতিক সার্কাসে পর আমরা দেখছি "দি নিউ সুশিল বাংলা সার্কাস"!!
যে সুশিলেরা হরতালের ক্ষতিকর প্রভাবের "১০০১টি কারন সাথে ১ টি ফাউ" টাইপের আলোচনায় কান ঝালাপালা করেন, হরতালের বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দেন! অথচ তারাই ছুটির দিনে লংমার্চের মতো কর্মসূচির বিপক্ষে হরতাল ডাকেন.....আজব......
সার্কাস চলছে, সার্কাস চলবে...
কবি আর সুশিলেরা মিলিবে, মিলাবে..
বাচ্চা লোক তালিয়া বাজাও.....

যখন কেউ হরতাল ডাকলো....কবি বললেন- হরতাল ধ্বংসাত্বক, বিকল্প খুঁজুন....সুশিলেরা সমর্থন করলো!!
যখন কেউ লংমার্চ ডাকলো...সুশিলেরাই প্রতিবাদে হরতাল ডেকে বসলো, কবিরাও নিরব হয়ে গেল।

দেশের চলমান সার্কাসে, সুশিলেরা এমনই ভাঁড়! আর কবি এখানেই নিরব!!