মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১২

৪৮ ঘন্টার ব্যর্থতা, অন্তত ৪৮ সমস্যার জন্ম দেবে!!!

সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের পর সরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৪৮ ঘন্টার আশাবাদ, আজো শেষ হয় নি! ঘড়ির কাঁটা সেকেন্ড, মিনিট মেপে মেপে ছোট্ট মেঘের চোখের পানি শুকায়, কিন্তু সে কাঁটা ঘন্টায় পৌছে না! অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে ঘুমিয়ে পড়ে মেঘ, ঘুমিয়ে পড়ে ঘড়িটিও! কালের গহব্বরে বিলিন হয় ৪৮ ঘন্টা!
মেঘ এতোটাই ছোট, ও নিশ্চই ৪৮ ঘন্টা বোঝে না! ও বোঝেনা, আমাদের বেডরুম পাহারা দেওয়া কোন সরকারের কাজ নয়! ও বোঝে না পরকীয়া কি? বাসায় মদের আড্ডা কি? ওর এটা বোঝার কথাও নয়।
তবে মেঘের এক জগৎ আছে, শিশু মনের স্বপ্নজগৎ- যেখানে তার বেডরুম নিরাপদ। পরকীয়া, মদের আসরের মতো বিশ্রী আর ৪৮ ঘন্টার নিস্ফল আশাবাদ, যে জগৎকে এখনো স্পর্শ করেনি.........
মেঘের রুপকথাময় স্বপ্ন জগতে আছে- হাতিশালায় হাতি, ঘোড়াশালায় ঘোড়া।  ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমী আছে। আছে রাক্ষস-খোক্ষসও........যারা যাদুর প্রভাবে রাজকন্যাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে, সোনার কাঠি আর রুপোর কাঠির ছোয়ায় যে অশুভ প্রভাব কেটে যাবে। রাজকন্যার ঘুম ভাঙ্গবে, রাজ্য আনন্দে ঝলমল করবে......
মেঘ নিশ্চই, নির্মম বাস্তবতার মাঝে তার স্বপ্নরাজ্য খুঁজে ফেরে! মিডিয়া রাক্ষস আর স্বার্থানেষী খোক্ষস যে তার মা-বাবাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে....সোনার কাঠি-রুপোর কাঠির ছোঁয়ায় যে তাদের ঘুম ভাঙ্গবে!
কিন্তু সে ঘুম আর কখনোই ভাঙ্গবে না। বাস্তব জগতের রাক্ষস খোক্ষসেরা যে অনেক শক্তিশালী! শিশু মনের স্বপ্নরাজ্য তারা নিয়ন্ত্রন করে! নিরাপদ বেডরুমকে নিরাপত্তাহীন করে! নিয়ন্ত্রন করে ঘড়ির কাঁটা.....৪৮ ঘন্টা!!! এমনকি তারা প্রধানমন্ত্রীকেও তাচ্ছিলের সুরে বাচাল বলতে পারে!
তারা এতোটাই শক্তিশালী! তাদের প্রান ভোমরা এতোটাই সুরক্ষিত! যার খবর জানেনা কোন ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমীও!
তবে মেঘের স্বপ্নরাজ্যের এক ব্যঙ্গমা বাসা বেঁধেছে আমার মনের ডালে! অনিরাপদ নীড়ে যে হারিয়েছে তার ব্যঙ্গমীকে! এ নিয়ে কোন ক্ষোভ নেই- নীড় পাহাড়া দেয়াতো কোন সরকারের কাজ না! সে ৪৮ ঘন্টার প্রতিক্ষায় থাকে না, রাক্ষস-খোক্ষসের প্রানভোমরার খবরও তার অজানা! সে সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে সাংবাদিক ঐকে খুশি হয়, মাহফুজুর রহমানের পরকীয়া তত্বে, ব্যঙ্গমীর শোকে ক্ষিপ্ত হয়......বিচারের ভবিষৎ নিয়ে হতাশ হয়........

আজ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মাহফুজের বাচাল তত্বের ভিডিও দেখে ব্যঙ্গমাকে কহিলাম- এটিএনের চেয়ারম্যান তো এবার মাইনক্যা চিপায় পড়ছে!
ব্যঙ্গমা কহিলো- আরে ধুর...আম পাবলিকের মতো কথা কইয়ো না! চিপায় পড়ছে তো সরকার!
আমি কহিলাম- কিরুপ?
ব্যঙ্গমা কহিলো- না ধরিলে, বিরোধী পক্ষ সাগর-রুনি ইমোশন লইয়া রাজনীতি করিবে! আর ধরিলে, তারাই গনমাধ্যমের স্বাধিনতা গেল বলিয়া মায়া কান্না কাঁদিবে!
আমি কহিলাম- খাইছে....তাহা হইলে এখন কি হইবে?
 ব্যঙ্গমা কহিলো- কাদম্বিনি মরিয়া প্রমান করিয়াছিলো তিনি মরেন নাই! হাসিনা আপাও এখন চুপ থাকিয়া প্রমান করিবে তিনি বাচাল নহে!!!
আমি কহিলাম- তাহা হয়তো হইবে না.....সুরন্জিত কহিয়াছিলেন- বাঘে ধরিলে ছাড়ে, হাসিনা ধরিলে ছাড়ে না!!! মাহফুজ এইবার ছাড়া পাইবে না!!!
ব্যঙ্গমা কহিলো- তাহাতেও বিপদ! সবাই কহিবে- খুনের জন্য নহে বাচাল বলিবার জন্যই কট খাইলো মাহফুজ!
আমি কহিলাম- ভারী আপদ....এখন উপায়???
ব্যঙ্গমা কহিলো- উপায় নাই গোলাম হোসেন! সরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৪৮ ঘন্টা এখনো শেষ হয় নাই! ৪৮ ঘন্টার ব্যর্থতা এমন আরো ৪৮ সমস্যার জন্ম দিবে, সাথে বাচাল উপাধি ফাও......

রবিবার, ১৭ জুন, ২০১২

আমার আব্বু, আমার হিরো।

আব্বুকে আমি কখনো লিখিনি, জানিনা আব্বুকে কি করে লিখতে হয়! কি বলে সম্মোধন করতে হয়! আর বিশেষনই বা কি?
প্রিয় আব্বু.....কিম্বা সুপ্রিয় আব্বু.....
বিশেষনেই কেটে দিতে হলো অসংখ্যবার! কারন আব্বুর বিশেষনের প্রয়োজন নেই! আব্বু তো আব্বুই। এ উদ্দাম গতিময়তার যুগে তিনি শুধু লালন কর্তা, পালনকর্তা এবং প্রয়োজনের যোগানদাতাই নয় বরং আরো বড় কিছু......
আমার আব্বু, আমার হিরো। আমার অনুপ্রেরনার আশ্রয়স্থল। আমার আব্বু, আমার পৃথিবী।
মনে পড়ে ছোটবেলায় একবার আব্বুর ঘড়ি হারিয়ে ফেলেছিলাম। আব্বু আমাকে কিছুই বলেননি।
তারপর অনেকদিন তার হাতটা ঘড়িবিহীন ছিলো, হয়তো আর্থিক সীমাবদ্ধতায় কিনতে পারেননি! আব্বুর ঘড়ি বিহীন হাতটি দেখে আমার এতো কষ্ট হতো, তারপর ১৬-১৭ বছর কেটে গেছে, আমি সে কষ্ট বুকে চেপে আজো কোন ঘড়ি হাতে দেইনি।

ও...আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা যখন আসলোই, তখন বলেই ফেলি- আমাদের পরিবারটা মধ্যবিত্ত। নুন আনতে হয়তো আমাদের পান্তা ফুরায় না! কিন্তু আব্বু এতো বিলাসী, নুন পান্তার জন্য তিনি ব্যবস্থা করেন ইলিশ! তখন হয়তো মধ্যবিত্ত সংসারে নুন পান্তা ইলিশে, থাকেনা পেঁয়াজ মরিচ! আব্বু সেটাও ব্যবস্থা করেন, কিন্তু কিভাবে তা আমি জানি না, আব্বু কখনো জানতেও দেননি।

এমন একটি মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে স্থানীয়(পাবনা) একটি কলেজে পড়াই ছিলো সংগত। কিন্তু আব্বু ছেলের আরো সুন্দর ভবিষৎ নিশ্চিত করতে আমাকে পাঠালেন ঢাকায়, ভর্তি করলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা কলেজটিতে(নটর ডেম)।

মাসের শুরুতে আমি চাইবার আগেই তিনি ফোন করে জানতে চাইতেন- কত টাকা লাগবে?
টাকা হাতে পাবার পর সব সময় দেখতাম- যা দেবার কথা দিয়েছেন অনেক বেশী। এ নিয়ে ফোনে আব্বুর সে কি মনোমুগ্ধকর অযুহাত-
বই মেলা চলছে, মেলায় যেয়ো ১০০০ টাকা বেশী দিলাম.....
পেপারে দেখলাম, বানিজ্য মেলায় ভালো ব্লেজার পাওয়া যাচ্ছে, ১৫০০ টাকা আলাদা পাঠালাম...কিনে নিয়ো.....
এ মাসে না তোমার জন্মদিন বন্ধুদের সাথে বাহিরে খেয়ো....ইত্যাদি.....ইত্যাদি

আব্বু কাউকে বুঝতে দেননি- আমার বিশাল খরচ, ছোটভাইয়ের লেখাপড়া, সংসার খরচ, নিজের হাত খরচ, সব মিলিয়ে তার আর্থিক অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হতে থাকলো। আব্বু ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ। কারো কাছে হাত পাতা কিম্বা ধার দেনা করার মানুষ তিনি নন। তাই প্রয়োজনের তাগিদে আমাদের বসত বাড়ির বাহিরে একমাত্র জমিটি তিনি বিক্রি করে দিলেন। আমাদের আত্বীয় স্বজনেরা তাকে বুঝিয়েছিলো- এক ছেলের পেছনেই সব খরচ করছো? তোমার তো আরেক ছেলে আছে, তার ভবিষৎ এর কথাও ভাবো....
আব্বু সেদিন বলেছিলো- ও যদি মানুষ হয়। আমার আরেক ছেলে আর আমি দুজনেই ওর ছেলেতে পরিনত হবো। তখন এই দুই ছেলেকে ওই দেখবে........
এ কথা যখন আমি শুনেছিলাম, আমার চোখে পানি চলে এসেছিলো। একজন বাবা তার ছেলেকে কতটুকু ভালোবাসতে পারে, বিশ্বাস করতে পারে.......

অথচ আমার যখন এইচএসসিতে রেজাল্ট খারাপ হলো! আব্বু কষ্ট পেলেও কি আশ্চর্যজনক ভাবেই না নিজের কষ্ট গোপন করলেন! আমাকে বললেন- এমন হতেই পারে, ভালো কোথাও ভর্তির চেষ্টা করো, এ রেজাল্টকে জীবনে প্রভাব পড়তে দিয়ো না.....

ছোটবেলায় যখন বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম। ঘন্টার পর ঘন্টা ফাতনাতে মাছের টোকা ছাড়াই অপেক্ষা করতাম, পরেরদিন আবার বড়শি ফেলতাম। ফিডব্যাক না পেলেও প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতাম। ভাবতাম- মাছ ধরাই সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র কাজ যেখানে ফিডব্যাক না পেলেও প্রচেষ্টা চালানো যায়.......
কিন্তু আব্বুকে দেখে বুঝেছি, পিতা হলেন এমন একজন যিনি সন্তানের কাছে আশানুরুপ ফিডব্যাক না পেলেও সন্তানের সুখের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।

আজ বাবা দিবসে, সকালে আব্বুকে ফোন করেছিলাম- কিন্তু বলতে পারিনি আব্বু, আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি। তুমিই আমার হিরো, তুমিই আমার পৃথিবী।
তাই লিখতে বসলাম- আব্বুকে আমি কখনো লিখিনি, জানিনা আব্বুকে কি করে লিখতে হয়.......আমি লিখতে পারছিলাম না। অবশেষে কাগজটি ছিঁড়ে শত টুকরা করে ফেললাম!!!
পরক্ষনে ভাবছিলাম, হায়...আব্বু যদি জানতো, তাহলে হয়তো শত টুকরা একে মিলাতো। একটি শব্দই শুধু বোঝা যেত- ভালো থেকো আব্বু।।।
আব্বু সে সময় নিশ্চই হেসে বলতেন- আব্বুকে কি লেখার কিম্বা বলার প্রয়োজন আছে? আব্বু তো জানেই তার ছেলে তাকে কত ভালোবাসে......

মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০১২

অশালীন বাক, এখনই থামিয়া যাক!!!

রুপকথার সেই কথা বলা ব্যাঙ এর কথা আমরা জানি, যাকে কিস করলে সে রাজকন্যা হয়ে যাবে।  মানুষ কিম্বা রুপক মানবিকতার স্পর্শে যে ব্যাঙ রাজকন্যায় পরিনত হয়!
আমি ভাবছিলাম, আমাদের রাজনৈতিক রুপকথাতেও রয়েছে কিছু কথা বলা ব্যাঙ! কিন্তু কিসের স্পর্শে তারা গনতন্ত্র কন্যায় পরিনত হবেন তা আমরা জানি না!
আমরা ভেবেছিলাম- সাংসদদের মর্যাদার স্পর্শে তারা গনতন্ত্র কন্যায় পরিনত হবে! কিন্তু হায়, এ কথা বলা ব্যাঙেরা গনতন্ত্রের জন্য নয় বরং ব্যাঙের ঘ্যাঙর-ঘ্যাঙ ডাকার জন্যই সাংসদের মর্যাদা পান!
ব্যাঙ দেখতে কুৎসিত। ব্যাঙের মুখ অনেক বড়। আর ডাকার সময় তা আরো প্রসারিত হয়। ব্যাঙকে তখন আরো কুৎসিত লাগে।
তেমনি আমাদের গনতান্ত্রিক ব্যাঙেদের মুখও অনেক বড়!!! তারা যখন কথা বলে, প্রসারিত হয় তাদের প্রতিহিংসা, হীনমন্যতা। তখন তাদের অনেক বেশী কুৎসিত লাগে, কদাকার মনে হয়!

১১ জুন বিরোধী জোটের গণসমাবেশে আমরা এমনই এক কুৎসিত, কদাকার ব্যাঙের ঘ্যাঙর-ঘ্যাঙ শুনলাম- বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট আশিফা আশরাফি পাপিয়া গণসমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আপত্তিকরভাবে ব্যাক্তি আক্রমণ করেছেন-

সাহারা খাতুনকে নিয়ে তিনি বলেছেন,“কুৎসিত, কিম্ভূতকিমাকার সাহারা খাতুন ও গোপালগঞ্জবাহিনী আজ দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে বিপর্যস্ত করছে।”

বিএনপিতে বাটি চালান নিয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল যে মন্তব্য করেছেন তার জবাবে পাপিয়া বলেছেন, “বাটি ও লাঠি উল্টা চালান দিয়ে আপনার (কামরুলের) মাথার টাক কিভাবে ফাটাতে হয় বিএনপি তা জানে।”

একজন  অ্যাডভোকেট, একজন সাংসদের এ কি ভাষা!!??
সরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনপ্রতিমন্ত্রী কথায় বেপরোয়া, কাজে ব্যর্থ ঠিক আছে.....তাদের কাজের সমালোচনা হবে, পদত্যাগও চাওয়া যেতে পারে। কিন্তু স্রষ্টা প্রদত্ত চেহারা নিয়ে এমন নির্লজ্জ ব্যাক্তি আক্রোমন কেন?

আমি ভাবছিলাম, বাজারে মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে মাউথ ফ্রেসনার পাওয়া যায়! রং ফর্শা করতে পাওয়া যায় ফেয়ারনেস ক্রীম! টাকও টাকার গুনে ঢেকে ফেলা যায়!
হয়তো সাহারা খাতুন ফেয়ারনেস ক্রীম মেখে ফর্সা হতে পারেন, কামরুল ইসলামও টাকায় টাক ঢেকে ফেলতে পারেন কিন্তু আশিফা আশরাফি পাপিয়া সহ আমাদের অধিকাংশ নেতা নেত্রীরা যে ভাষায় কথা বলেন, এতে তাদের মুখ থেকে যে অশালিন দুর্গন্ধ বেরোয় তা কোনো মাউথ ফ্রেশার দিয়েই দুর করা যাবে না!

কিছু দিন আগেই সংসদে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের মতো সজ্জন সাদামনের মানুষকে নির্লজ্জভাবে অপমানসূচক ভাষায় আক্রোমন করা হলো! লজ্জাজনক এ ঘটনার পর সে বক্তব্য এক্সপাঞ্চ করা ছিলো একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। সংসদে দেয়া অশালিন বক্তব্য হয়তো স্পিকার এক্সপাঞ্চ করতে পারেন!! কিন্তু আশিফা আশরাফি পাপিয়া গনসমাবেশে যে ভাষায় প্রতিপক্ষকে আক্রমন করলেন, এ বক্তব্য কে এক্সপাঞ্চ করবে?
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বেহায়াপূর্ণ ভাবে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে বলেন-  তত্তাবধায়ক সরকার কি তাকে পাজকোলে তুলে ক্ষমতায় বসাবে!!! এ বক্তব্য কে এক্সপাঞ্চ করবে?
বিরোধীদলীয় সাংসদ শাম্মি আখতার যখন নির্লজ্জভাবে বলেন- শেখ হাসিনা এরশাদের কোলে বসে লং ডাইভে গিয়েছিলো! এ বক্তব্য কে এক্সপাঞ্চ করবে?

এসব বক্তব্য কখনো এক্সপাঞ্চ হবে না। এ সকল বক্তব্যই আমাদের শুনতে হবে...একপক্ষ বক্তব্য গুলো উপভোগ করবে, অন্যপক্ষ ছি..ছি করবে! আমরাও এ ভাষাতেই চায়ের কাপে ঝড় তুলবো, এ ভাবেই প্রতিপক্ষকে আক্রমন করবো! আমাদের বাচ্চারা শিখবে পাজকোলে তোলা, কোলে বসিয়ে লং ড্রাইভে যাওয়া! তারাই হয়তো বন্ধুর বাবাকে টেকো আর বান্ধবির মাকে কুৎসিত বলতে শিখবে...!!!

এমন যাতনা আমাদের রাজনীতিবিদদের স্পর্শ করে কিনা জানিনা, তবে বোধসম্পন্ন সকল মানুষকেই তা কষ্ট দেয়। সে মানুষগুলো এসব বক্তব্যের এক্সপাঞ্চ চায় না! তারা চায়- এমন অশালীন বাক, এখনই থামিয়া যাক!!! তারা চায়- এ কথা বলা ব্যাঙেরা সাংসদের মর্যাদার স্পর্শে গনতন্ত্রমনা হয় উঠুক!
এমন রাজনৈতিক রুপকথাই হয়ে উঠুক আমাদের রাজনৈতিক বাস্তবতা!!!

বাস্তব বিষয়ে কল্পিত কথোপকথোন!!!

আমি অর্থনীতি খুব কম বুঝি, বাজেট আরো কম। অর্থনীতি নিয়ে কোন গভীর আলোচনা করিতে আমি সক্ষম নই তাই বাজেট আলোচনার জন্য অর্থমন্ত্রীকে ফোন করিলাম-
কহিলাম- মাননীয় মন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে প্রতি বছরে বরাদ্ধ কমিতেছে! ২০০৮-০৯ সালে বরাদ্দ ছিলো ১০.৫%, ২০০৯-১০ এর ১০.৬%, ২০১০-১১ তে ৯.৫, ২০১১-১২ তে ৭.৬% এবং ২০১২-১৩ তে ৮%! কেন?

মন্ত্রী কহিলেন- তোরা হইলি চাষাভুষার জাত, শিক্ষা থাকিবে ধনীদের পকেটে! তোদের শিক্ষার দরকার কি?

আমি কহিলাম- কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী, কৃষিখাতেও তো এবার ভর্তুকী কমানো হইয়াছে! কৃষিখাতে এবার বরাদ্দ দেওয়া হইয়াছে ৮ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা যাহা মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এই হার ছিল ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ, ২০০৯-১০ সালে ছিল ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ, ২০১০-১১ সালে ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ২০১১-১২ এর সংশোধিত বাজেটে ৫দশমিক ৭৪ শতাংশ। তাহা হইলে এ চাষারা কি চাষবাসও করিবে না?

মন্ত্রী কহিলেন- ওরে অবুঝ, সারা জীবন কি চাষবাসই করিবি, এবার অন্যকিছু কর!

আমি কহিলাম- কি করিব
মাননীয় মন্ত্রী?

মন্ত্রী কহিলেন- অসৎ পন্থায় কালো বিড়াল হইয়া, ইদুর ধর!!

হতাশ কন্ঠে কহিলাম- কিন্তু কালো বিড়ালেরাই যে ধরা পড়িয়া মন্ত্রীত্বের দফতর হারাইতেছে......

মন্ত্রী হাসিয়া কহিলেন- এটা হইলো সুরন্জিতের ভাগ্যের মিস টাইমিং!!!

আমি বিষ্ময় লইয়া কহিলাম- কিরুপ???

মন্ত্রী কহিলেন- সে ঘটনা যদি আর কিছুদিন পর (বাজেটের পর) হইতো, তাহা হইলে সুরন্জিত বাবু ৭০ লক্ষ কালো টাকা ১০% হারে কর দিয়া সাদা করিয়া ফেলিতে পারিত! কালো বিড়াল বাবু ৬৩ লক্ষ টাকাও পাইতো, মন্ত্রীতের দফতরও যাইতো না!!!
তোরতো এমন কোনো মিস টাইমিং ঘটে নাই, তাই সময় থাকিতেই কালো টাকা সাদা করিয়া ফেল!

আমি মাথা নিচু করিয়া কহিলাম- কালো টাকা কোথায় পাইবো? আমার তো কালো, সাদা, লাল, নীল, বৈধ, অবৈধ, কাঁচা, পাকা কোন টাকাই নাই। আমি তো কদর্পশুন্য!!

মন্ত্রী চমকাইয়া কহিলেন- কি?? তুই কদর্পশুন্য....তাহার পরেও আমাকে ফোন করিয়াছিস! তুই কি জানিস না, বাজেটে ফোনে কথা বলার ওপরও ভ্যাট বসাইয়াছি?..............রাবিস, টোটালি রাবিস!!! বলিয়া মন্ত্রী ফোনটা রাখিয়া দিলেন.......

সোমবার, ৪ জুন, ২০১২

জাতহীনের জাত আর ছোটলোকের টানিয়া লওয়া স্বভাব!!!

লালন শাহ কে নিয়ে করা মনের মানুষ ছবি দেখে বুঝেছিলাম- নানা চড়াই উৎরাইয়ের সাধক জীবনে লালন তার মনের মানুষের সন্ধান পাননি। তাই তো তিনি গেয়েছেন-
মিলন হবে কত দিনে, আমার মনের মানুষেরও সনে..
আমি ভাবছিলাম- কোন ব্যাক্তির মতো, দেশেরও কি মন আছে? দেশকে আমরা বলি দেশমাতৃকা। অর্থ্যাৎ দেশ তো মা। তাই দেশমাতারও মন আছে নিশ্চয়ই! আছে মনের মানুষ! আচ্ছা, স্বাধীনতার ৪১ বছরে বাংলাদেশ কি সন্ধান পেয়েছে তার মনের মানুষের? অবশ্য এ প্রশ্নের উত্তরে রাজনৈতিক ও ব্যাক্তি কেন্দ্রিক ঝগড়ার সূত্রপাত হতে পারে! তাই বাংলাদেশ মনের মানুষের সন্ধান পেয়েছে কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ! তবে আলোকিত মানুষের সন্ধান যে পেয়েছে তা প্রশ্নাতীত।
সন্ধান পাওয়া সেই আলোকিত মানুষ, যিনি আলোকিত মানুষ গড়ারও কারিগর। তিনি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। যিনি আগুনের পরশমনি নিজে ছুঁয়েছেন এবং বই পড়া আন্দোলনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সারা দেশে।
অথচ কি আশ্চর্যজনক ভাবে, তার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংসদে অপমানসূচক ভাষায় তার মতো সজ্জন সাদামনের মানুষের গায়ে অশালীন আক্রমনে কালিমা লেপন করা হলো!!! লোডশেডিং এর দেশে এ আলোকিত মানুষকে আঁধারে ঢেকে ফেলা হলো!!!
শনিবার (৩রা জুন) টিআইবির আলোচনা সভায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ‘সাংসদ ও মন্ত্রীরা চোর-ডাকাতের মতো আচরণ করেন এবং শপথ ভঙ্গ করেন’- এই বক্তব্য দেন বলে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত হয়। ওই বক্তব্য ধরে পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে সংসদে অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করেন স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম। এরপর মুজিবুল হক চুন্নু ও শেখ সেলিম এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
তাদের বক্তব্যের সারকথা ছিলো- আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তব্য অযাচিত, দুঃখজনক, দায়িত্বহীন। এটা গণতন্ত্র ও সংসদের ওপর আঘাত। সংসদের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বুদ্ধিজীবীরা অনেক উপদেশ দিতে পারেন। বিপদে তাদের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যায় না। উনারা কী করেন, এত টাকা কোথা থেকে খরচ করেন? এদের টাকার উৎস কোথায়? প্রতি সপ্তাহে একটা-দুইটা সেমিনার করেন, এত দামি গাড়িতে কী করে চড়ে!!!
স্পিকারের দায়িত্ব পালনকারী আলী আশরাফ সাংসদদের বক্তব্যকে যথার্থ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন- সংসদকে অবমাননার মাধ্যমে দেশের জনগণ ও সংবিধানকে অবমাননা করা হয়েছে। এতে সাংসদদের বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সে জন্য তাঁকে (আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ) বিশেষ অধিকার কমিটির মাধ্যমে নোটিশ করে আমরা এ সংসদে তলব করতে পারি। কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
তথ্যসুত্র১ এবং তথ্যসুত্র২
আমি ভাবছিলাম- চোর ডাকাতদের মত বলায় সংসদকে অবমাননা করা হল, সংবিধানকে অবমাননা করা হল আবার সাংসদদের বিশেষ অধিকারও ক্ষুণ্ণ হল সর্বোপরি সাংসদদের জাত চলে গেল! লালন কি এমন পরিস্থিতিতেই গেয়েছিলেন-
জাত গেলো, জাত গেলো বলে
এ কি আজব কারখানা…
গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়!
লালন বলে, জাত কারে কয়?
সতিৎ, জাত কারে কয়? চোর ডাকাতের মতো বলায় জাত যায়! কিন্তু যারা দিনে দুপুরে পুকুর চুরি আর রাতে নদী-সমুদ্র ডাকাতি করে, তাতে জাত যায় না? কিছু দিন আগেই সংসদে শাম্মি আখতার-আশফিয়া পাপড়ি, নারী সাংসদদের কোলে বসিয়ে- পাজকোলে তুলে দিলেন তাতে জাত যায় না? সংসদেই যখন সাংসদেরা মারতে তেড়ে যান, বাপ তুলে কথা বলেন তখন জাত যায় না? কিন্তু গনমানুষের মনের কথা শুনলে তাদের জাত যায়!!!
তবে এ ন্যক্কারজনক ঘটনার আরো বড় বিষ্ময় লুকিয়ে ছিলো! যা কিনা সাংসদদের মর্যাদা কিম্বা জাত রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট। কারন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার সেদিন সাংসদদের অধিকার ক্ষুণ্ন তো দূরের কথা, সেদিনের বক্তব্যে তিনি সাংসদ শব্দটি উচ্চারণই করেননি। তাঁর ওই বক্তব্যের রেকর্ড থেকে জানা যায় তিনি বলেছিলেন-
‘চোর যে চুরি করে, ডাকাত যে ডাকাতি করে, সেটি কি দুর্নীতি? আমার ধারণা, এটা দুর্নীতি নয়। কারণ, দুর্নীতি শব্দের মধ্যে আরেকটি শব্দ লুকিয়ে আছে। শব্দটি হলো ‘নীতি’। চোর বা ডাকাতের কাজ ঠিক দুর্নীতি নয়। কারণ, তাদের কোনো নীতিই নেই। সুতরাং, দুর্নীতি সেই মানুষটি করে, যার নীতি আছে। একটা উদাহরণ দিই। যেমন—যদি একজন মন্ত্রী এই বলে শপথ নেন যে তিনি শত্রু-মিত্র ভেদাভেদ না করে সবার প্রতি সমান বিচার করবেন, কিন্তু পরে তিনি সেটি না করেন, সেটা হবে দুর্নীতি।’
তথ্যসুত্র
আমি ভাবছিলাম, এখন কি বলবেন, ইনকিলাব পত্রিকাওয়ালারা? কি বলবেন, আমাদের বিশেষ অধিকারওয়ালা সাংসদেরা? যারা কোনরূপ যাচাই বাছাই না করেই, একজন আলোকিত মানুষকে অপদস্থ করে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন। এখন তারা কি স্যারের কাছে ক্ষমা চাইবেন? আমার মনে হয়না তারা ক্ষমা চাইবেন!!! কারন সায়ীদ স্যারের ব্যর্থতা সম্ভবত এটাই যে, যে আলো তিনি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন, সে আলো আমাদের রাজনীতিবিদদের কাছে পৌঁছেনি, সম্ভবত কখনো পৌঁছাবে না!
সায়ীদ স্যারের ঘটনায় এক বুক কষ্ট নিয়ে শুনছিলাম- লালন শাহ্’র গান! ভাবছিলাম আধ্যাত্মবাদ সম্পর্কে! বাড়ীর পাশে আরশি নগর সম্পর্কে! স্রষ্টা তো মানবের মাঝে বিরাজ করেন।
আমার মাঝে আমি অনুভব করছিলাম এক স্রষ্টার উপস্থিতি!
আমি তাকে বললাম- প্রভু, মানির মান তো তুমিই রাখো। তাহলে সায়ীদ স্যারের মতো মানুষকে অপদস্থ করলে কেন?
প্রভু বললেন- সে তো সাংসদ ও মন্ত্রীদের চোর-ডাকাত বলেছে। সে কি জানে না, কানাকে কানা বলিতে নাই, ন্যাংড়াকে ন্যাংড়া বলিতে নাই তেমনি চোর-ডাকাতদেরও চোর-ডাকাত বলিতে নাই।
- কিন্তু তিনি তো তা বলেন নাই। আমি বিষ্ময় নিয়ে প্রতিবাদ করলাম
প্রভু বললেন- ছোট লোকের স্বভাব কি জানো?
-কি? আমি প্রশ্ন করলাম
-তারা যে কোন কথাকেই নিজের দিকে টানিয়া লয়। প্রভু জবাব দিলেন।

শনিবার, ২ জুন, ২০১২

একটি ব্লগীয় জিডি!!!

আমি আসাদুজজেমান। একজন সামান্য ব্লগার।
দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ব্লগে লিখে থাকি।
গতকাল ০২.০৬.১২ ইং রোজ-শনিবার , বিভিন্ন নিউজ সাইটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মন্তব্য আমার বেদনার্ত মনযোগ আকর্ষন করেছে! শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কুড়িগ্রামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন–
“মিডিয়া এখন স্বাধীন। প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে না লিখলে অনেকের পেটের ভাত হজম হয় না।” সরকার ভালোভাবেই দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু তা অনেকের ‘সহ্য’ হচ্ছে না।
তথ্যসুত্র১ এবং তথ্যসুত্র২
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য আমার লেখকসত্তাকে আহত করেছে। এ বক্তব্য, সাগর-রুনি হত্যাকান্ড, রাজপথের বেহাল দশা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের পথে বসা, পুলিশি তান্ডব সহ বিভিন্ন অপকর্ম সম্পর্কে যৌক্তিক সমালোচনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিবেকের তাড়নায় লেখা বিভিন্ন লেখার লেখককে হা হুতাশকারী বলে লেখকসত্তাকে ছোট করেছে।
আমি মনে করি, সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ব্যর্থতার বিপরীতে কিছু লিখলে তা হয়তো সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে কিন্তু তা কখনোই হা হুতাস হতে পারে না।
ব্যর্থতার সমালোচনা হজম না হওয়া পেট থেকে আসে না বরং বিবেক থেকে আসে। যে বিবেক প্রতিনিয়ত বলে-
সাগর-রুনির হত্যাকান্ডের নিন্দা, হা হুতাস নয় বরং হৃদয়ের রক্তক্ষরন।
শেয়ার বাজারে পুজি হারানো ক্ষোভ, সরকারের বিরুদ্ধাচারন নয় বরং বিনিয়োগকারীদের অস্তিত্বের লড়াই।
আদালতপাড়ায় তরুনির শ্লীলতাহানির নিন্দা, পেটের ভাত হজম নয় বরং নির্লজ্জতার বদহজম।
সাংবাদিক ও সাধারন নাগরিকদের ওপর পুলিশের দানবিয় আচরন, দেশ ভালো ভাবে চলার লক্ষন নয়! এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে বিরুদ্ধে না লিখে সরকারের প্রশংসা করা শুধু গৃহপালিতদের পক্ষেই সম্ভব।
একজন লেখক হিসাবে গৃহপালিত না হওয়ায় এবং বিবেকের তাড়নায় বিভিন্ন অপকর্মের সমালোচনা করায়, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আমি শংকিত! এবং আমার লেখক সত্তা প্রশ্নবিদ্ধ!
আমি রাষ্ট্রের কাছে আমার এবং আমার অতিত ও বর্তমানের সকল লেখার নিরাপত্তা দাবী করছি। যে লেখাগুলো আমার হা হুতাস ছিলো না। ভাত হজম করার হজমীও ছিলো না। যে লেখাগুলো ছিলো আমার বিবেকের দংশন ও তাড়নার।
-আসাদুজজেমান
ব্লগার
তাং-০৩/০৬/২০১২ইং