রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১২

অবসম্ভাবী সংঘর্ষের দায়টা কার???

কেনেথ টাইনান ছিলেন একজন প্রভাবশালী নভেলিস্ট এবং বিখ্যাত  ড্রামা ক্রিটিক। কিন্তু তিনি কখনও নাটক লেখেননি!!!। তার এই নাটক না লেখার বিষয়ে এক ইন্টারভিউতে তিনি বলেছিলেন,
"একজন মানুষ তার জীবনে যা কিছু লিখতে পারে, তার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন হলো নাটক লেখা। "
হয়তো কঠিন বলেই কেনেথ টাইনান নাটককে এড়িয়ে গেছেন! কিন্তু তিনি বলে যাননি আমাদের জীবনটাই একটা নাটক এবং সমস্যা আর সংকটে ভরপুর এ নাটক এড়ানো সম্ভব নয়।
আমি ভাবছিলাম, যুক্তিবিদ্যার সেই জটিল সমীকরণ- গরু ঘাস খায়, মানুষ গরু খায় অর্থাৎ মানুষ ঘাস খায়!
আচ্ছা, জীবনটা যদি নাটক হয়, আর আমাদের জীবন জুড়ে  যদি রাজনীতি হয়, তবে কি রাজনীতিও একটা নাটক? রাজনীতি নাটক হলে সেটা কি বানিজ্যিক নাটক, নাকি শিল্প সমৃদ্ধ নাটক? সম্ভবত, রাজনীতি বানিজ্যিক  নাটক!  তবে টিভি নাটকের সাথে রাজনীতি  নাটকের  পার্থক্য হলো,  টিভি নাটকের বানিজ্য টাকায় আর রাজনীতি নাটকের  বানিজ্য ক্ষমতায়!  টিভি নাটকে সংঘর্ষ হয় না, হয় অভিনয়। স্ট্যানম্যানরা মার খায় না, মার খাবার অভিনয় করে। সেখানে রক্ত ঝরে না, ঝরে আলতা( লাল রং)। কিন্তু রাজনীতি নাটকে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ হয়, সাধারন মানুষ মার খায়, যে নাটকে আলতা নয় বরং রক্তই ঝরে।
আর এমন রাজনীতিক নাটকে আজ রক্ত ঝরলো চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে। চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে নিহত তিন জন কোন স্ট্যানম্যান ছিলোনা ছিলো সাধারণ মানুষ। তারা নিহত হলো আমাদের ক্ষমতা কেন্দ্রিক মহাকাব্যিক  রাজনীতির দ্বন্দ্বে। যে দ্বন্দ্বটি সাম্প্রতিক সময়ে হয়েছে প্রকট।
উদ্বেগ-উৎকন্ঠা নিয়ে আমি খেয়াল করছিলাম এ সংকটের ঘটনা প্রবাহ-

ঘটনা প্রবাহ এক. ৯ জানুয়ারী চট্টগ্রাম জনসভা থেকে খালেদা জিয়া ২৯ জানুয়ারী ঢাকা সহ অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা  শহর সদরে গন মিছিলের কর্মসূচী ঘোষনা করেন।

ঘটনা প্রবাহ দুই. ২৬ জানুয়ারী, মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিএনপি-জামায়াত জোটের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে দেড় মাস ব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসাবে ২৯ জানুয়ারী পাল্টা সমাবেশ করার ঘোষনা দেয়।

ঘটনা প্রবাহ তিন. ২৮ জানুয়ারী, প্রধান দুই দলের পরস্পর বিরোধী অবস্থানে সংঘর্ষের আশংকায় ডিএমপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ জানুয়ারী মিছিল সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

ঘটনা প্রবাহ চার.  ২৮ জানুয়ারী,  পুলিসের নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে বিএনপি তাদের গনমিছিল একদিন পিছিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং রাতে আওয়ামী লীগ তাদর সমাবেশ কর্মসূচি স্হগিত করে।

ঘটনা প্রবাহ পাচ. ২৯ জানুয়ারী, মহানগর আওয়ামী লীগ তাদের স্থগিত করা কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি বিএনপির গনমিছিলের দিনে করার ঘোষনা দেয়। এদিন চাঁদপুর ও লক্ষিপুরে বিএনপির গনমিছিলের সাথে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ তিনজন নিহত হয়।

ঘটনা প্রবাহ ছয়.  ??????
এ প্রশ্নটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন? কি হবে ৩০ জানুয়ারী? ডিএমপি কি আবারো নিষেধাজ্ঞা জারি করবে? বিএনপি কি নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে গনমিছিল করবে? আওয়ামী লীগ কি বিদ্বেষপ্রসুত সমাবেশ করবে? পুলিশ-বিএনপি-আওয়ামীলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে কি আবারো রক্ত ঝড়বে? লাশ পড়বে?
আমি ভাবছিলাম, জনগনের জীবন ও জীবিকার এ নিরাপত্তাহীনতার দায় ও দোষটা কার?
এটা নির্বাচন করার জন্য মূল্যায়ন করতে হবে পূর্বের পাঁচটি ঘটনা প্রবাহ.....যেহেতু নির্দিষ্ট দিনের ২০ দিন আগে বিএনপি কর্মসূচি ঘোষনা করেছিলো, তাই বিএনপির গনমিছিল ছিলো প্রত্যাশিত। কিন্তু মাত্র ৩ দিন আগে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির দিনেই আওয়ামীলীগের সমাবেশ ঘোষনা ছিলো অপ্রত্যাশিত! এবং এ অযাচিত সিদ্ধান্ত উদ্বেগপূর্ন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে! আওয়ামীলীগের এ অনাকাংক্ষিত সিদ্ধান্ত যে সংঘাতের আবহ তৈরি করে তা নিরাপত্তার স্বার্থে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্র তৈরি করে। ফলে ডিএমপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ জানুয়ারী মিছিল-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বিবাদমান এ অচলাবস্থায় বিএনপি তাদের রাজনৈতিক বিচক্ষনতার পরিচয় দিয়ে গনমছিল এক দিন পিছিয়ে দেয়। তবে ২৯ তারাখেই নির্ধারিত গনমিছিল করতে গিয়ে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে বিএনপির মিছিলে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে ৩ জন নিহত হয়! আমি নিশ্চিত নই, ২৯ জানুয়ারী চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে নিষেধাজ্ঞা চলছিলো কিনা! যদি নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে স্থানীয় বিএনপি গনমিছিল একদিন না পিছিয়ে নির্দিষ্ট দিনে করার অতি উৎসাহ কেন দেখালো? আর বাংলাদেশ পুলাশের সদস্য কিভাবে বিএসএফের মতো এ দেশের মানুষের বকে গুলি চালিয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা জন্ম দিলো! রাজনীতি না হয় নাটক! কিন্তু পুলিশতো আর রাজনীতিবীদ নয়। নাকি পুলিশ প্রমান করলো, তারা ক্ষমতাশীন রাজনীতি নাটকের একটি চরিত্র!
আমার মনে হয়, ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা শুধু লজ্জাজনকই নয় এতে একটি সতর্কবার্তাও রয়েছে!
যে সতর্কতা আগামিকাল আরেকটি সংঘাতের আশংকার, আরো রক্তের এবং লাশের আশংকার!
বিএনপির পিছিয়ে দেয়া গনমিছিলের দিনেই আওয়ামীলীগ আবারো অপ্রত্যাশিতভাবে সমাবেশ ডেকেছে! তাদের এ অগনতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু আচরনই সংঘাত, সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে পারে, কাল আরো রক্ত ঝড়তে পারে, লাশ ও পড়তে পারে! তাই এ ক্ষেতে বিএনপির সহনশীলতার বিপরীতে আওয়ামীলীগের এ অসহিষ্ণতায় যদি যদি কোন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম হয় তাহলে এর দোষটা আওয়ামীলীগের ওপরই পড়বে, দায়টা তাদেরই নিতে হবে।









শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১২

অপপ্রচারের মূল্যায়ন!


গত সপ্তাহে ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি যখন বিএসএফ-এর অপকর্মের ভিডিওটি প্রকাশ করলো, একজন বাংলাদেশীকে উলঙ্গ করতে দেখে ভাবছিলাম, কিভাবে সীমান্তে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত উলঙ্গ করা হচ্ছে! ফেলানির রক্তের দাগ এখনো মোছেনি, জল্লাদের শানিত অস্ত্র রক্তের দাগ ও ক্ষত টাটকা রাখছে প্রতিনিয়ত! সেলিমকে যখন বর্বরতায় বিবস্ত্র করে পেট্রোল ঢেলে দেয়া হলো, যে পেট্রোলে আগুন জ্বলে উঠলো এ দেশের মানুষের মনে, ব্লগে, ফেসবুকে………জ্বালানী পেলো ভারত বিরোধী মনোভাব।
এর মধ্যেই ফেসবুকে উঠে আসলো আরো দুটি ভয়াবহ ছবি। এক ব্যাক্তির গাছের সাথে বাধা বিভৎস ছবি এবং এক নারীর মৃতদেহ বাঁশে করে ঝুলিয়ে নেবার অমানবিক ছবি, প্রচার করা হলো বিএসএফ কতৃক বাংলাদেশী নির্যাতনের ছবি হিসাবে।
কিন্তু পরক্ষনে প্রমান সহ দেখা গেলো, ছবি দুটিতে সত্যের সাথে মিথ্যা মেশানো হয়েছে। প্রথম ছবিটি বরগুনার এক ডাকাতের প্রতি গ্রামবাসীর নিষ্ঠুরতা, বিএসএফের নয়। দিত্বীয় ছবিটি মাওবাদী নারী গরিলার মৃতদেহ, বাংলাদেশীর নয়। যদিও বিএসএফকে সেভ করার জন্য প্রমান দুটি হাজির করা হয়েছে, তবে লক্ষ্যনীয় দিত্বীয় ছবিটি বিএসএফ-এর বর্বরতার প্রমান।
এখন প্রশ্ন হলো, ছবি নিয়ে মিথ্যাচার কারা কি উদ্দেশ্য প্রকাশ বা প্রচার করলো? এবং এর ফলাফল কি দাড়ালো? এর সম্ভাব্য দুটি কারন ও ফলাফল হতে পারে,
এক. ছবি দুটি দিয়ে ভারতবিরোধী মনোভাবকে উষ্কে দেবার চেষ্টা করা হতে পারে!
ফলাফল- এ চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে কারন প্রমান হয়েছে ছবি দুটি মিথ্যা এবং ভারত মিথ্যাচারের শিকার হচ্ছে।
দুই. সেলিম ঘটনায় ক্ষুন্ন ভারতীয় ইমেজ পূনপ্রতিষ্ঠার জন্য এটা করা হতে পারে! এবং সে উদ্দেশ্যের ধারাক্রম হতে পারে-
. ভারত বিরোধী মনোভাবের বেলুনকে আরো ফুলিয়ে ফেলা এবং পরক্ষনেই দুটি ছবির প্রমান পিনের খোঁচায় বেলুনটি চুপসে ফেলা।
. ভারত নির্যাতক নয় বরং ভারতই তথ্য সন্ত্রাসের স্বীকার হিসাবে পরিস্থিতি তুলে ধরা।
. একটি বিশেষ মহল বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মিথ্যা মনোভাব তৈরি করছে, একথায় ফেলানী, সেলিম সহ সকল নির্যাতনের ঘটনাকে হালকা করে ফেলা।
ফলাফল- এ চেষ্টা সফল হয়েছে, এবং ভারত তথ্য সন্ত্রাসের স্বীকার হচ্ছে বলে প্রমান হয়েছে!
লক্ষণীয়, সম্ভাব্য দুটি ফলাফলেই পরিস্থিতির সুবিধাভোগী হয়েছে ভারত!!!
প্রিয় পাঠক, আপনারা এ বিষয়গুলো মূল্যায়ন করতে পারেন। এবং এ মূল্যায়নের পূর্বে বিবেচনায় রাখতে পারেন-
এক. ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ কোন উদ্দেশ্য প্রনোদিত ছবি নয় বরং সত্য।
দুই. সেলিমের বস্ত্রহরন কোন মহাকাব্যিক শুটিং নয় বরং বাস্তব বর্বরতা।
তিন. সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে মানুষ মারাও সত্য।
আমি আশা করছি, এ মূল্যায়নের ফল এই লেখার মন্তব্যের ঘরে পাবো………

রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১২

চিন্তাবিহীন রাষ্ট্রই, আমাদের দুঃচিন্তার কারন!!!

ধর্ষন যখন নিয়তি হয়ে যায়, তখন ধর্ষিতার কি ভূমিকা হওয়া উচিত?
শক্তি ও সামর্থের অসহায়ত্বের বিপরীতে পাশবিক উল্লাসে যে ধর্ষিত হয়েছে ও হচ্ছে! শত চেষ্টা করেও ধর্ষন এড়ানো যায়নি এবং ভবিষৎ এ যাবেনা বলেই কি, সে ধর্ষনকে কামনা ও উপভোগ করতে হবে! যে কামনা আর উপভোগের মানষিকতা  ধর্ষিতার পরিচয় পরিবর্তন করে দিতে পারে যখন ধর্ষক, ধর্ষিতাকে বেশ্যা বলে তার অপরাধবোধ কমাতে পারে।
এ ছাড়াও ধর্ষক মহারাজ আরেকটি দায়মুক্তির সুযোগ নিতে পারে! আর তা হলো- ধর্ষিতা সন্তান সম্ভবা  হলে তার পিতৃত্বের দায়! বেশ্যার সন্তানের আবার পিতৃপরিচয় কি?
তবে বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার যুগে এ দায় আর এড়ানো সম্ভব নয়। তাই ধর্ষক এ ক্ষেত্রে আরেকটু কৌশলী হতে পারে এবং কনডম ব্যবহার করতে পারে! আশা করা যায় ধর্ষক কনডম কারিশমায় দায় এবং দোষ মুক্ত থাকতে পারবে কিন্তু ধর্ষিতা পারবে না ধর্ষন মুক্ত থাকতে, দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে!
তবে ধর্ষন নিয়ে ধর্ষিতা এখন আর চিন্তিত নয়! ধর্ষন অতিতেও ঘটেছে, এখনো ঘটছে এবং ভবিষৎ এ ঘটবে!
২১ জানুয়ারী স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সীমান্তে যা কিছু ঘটছে তা নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয়। সব কাজ ফেলে রেখে শুধু এদিকে দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেও সরকার মনে করে না। এসব অতীতে ঘটেছে, এখনো ঘটছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে। এগুলো নিয়ে রাষ্ট্র খুব বেশি চিন্তিত নয়। (তথ্যসুত্র)
আমি ভাবছিলাম, যে সীমান্তে শুধু মাত্র গত এক মাসে বিএসএফ নির্মমভাবে হত্যা করেছে ৪ বাংলাদেশীকে। যেখানে ঝোলে ফেলানির লাস। যে সীমান্ত পেরিয়ে আসা ফেন্সিডিলের মাদকতায় ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ! সীমান্তের এ ঘটনাগুলো কি রাষ্ট্রের চিন্তার অযোগ্য সমস্যা?
কাঁটাতারের বেড়ায় ঘিরে ফেলে, স্বাধীন দেশের সীমানার মধ্যে পাখির মতো গুলি করে মারা হয় স্বাধীন দেশের মানুষ, এ শুধু হত্যা নয়.....এ ধর্ষন......স্বাধিনতা, সার্বভৌমত্বকে প্রতিনিয়ত উপর্যপরি ধর্ষন!
তবে এ ধর্ষন নিয়ে সৈয়দ আশরাফরা চিন্তিত নয়! কারন ধর্ষন অতিতে হয়েছে, বর্তমানে হচ্ছে, ভবিষৎ এ হবে! ধর্ষন এড়ানো যাচ্ছে না বলে তারা আজ ধর্ষন উপভোগ করতে চাচ্ছে! ধর্ষকও বন্ধুত্বের কনডম পড়ে দায়বীহিন সঙ্গম করে যাচ্ছে...... তবে এ সঙ্গমে ধর্ষন অনুপস্থিত! অনুপস্থিত মানবতা, মানবিকতা, মানবাধিকার! কারন ধর্ষিতা যখন ধর্ষন নিয়ে চিন্তিত নয়, তখন সে আর ধর্ষিতা নয় বরং বেশ্যা!!!