শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১১

আব্দুর রাজ্জাক, মরে প্রমান করলেন তিনি মরেন নাই!


শুক্রবার সন্ধ্যায় "মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, বর্ষীয়ান নেতা আব্দুর রাজ্জাক আর নেই" শোক সংবাদটি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর শোকসহ কয়েকটি মিডিয়ায় প্রচার হবার পর, শোকভারাক্রান্ত মনে ফেসবুকে শেয়ার করলাম- 
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের স্মৃতির প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা। আমাদের মাথা নত হয়ে আসে, মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের কৃতজ্ঞতায়....আমাদের মাথা নত হয়ে থাকবে, তাকে মূল্যায়ন না করার ব্যর্থতায়!!
কিন্তু আমার নত মাথা মাটির সাথে মিশে গেল যখন ঘন্টা খানেক পড়ে জানলাম- হাসপাতালের চিকিৎসকরা তখনও আবদুর রাজ্জাককে মৃত ঘোষণা করেননি! একজন চিকিৎসক বলেছেন, ‘হি ইজ স্টিল অ্যালাইভ।
আমি ভাবছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রবীন এ রাজনীতিবিদের জীবনের শেষ সময়ে দেশের কাছ থেকে কি চমৎকার প্রাপ্তি!!!!
হুজুকে বাঙ্গালির হুজুকপনায় আক্রান্ত মিডিয়া হয়তো অতি উৎসাহি হয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর নাম ব্যবহার করতে পারেন!!! কিম্বা আমাদের রাজনীতিবিদেরাও হয়তো কানের শোকে চিলের পেছনে দৌড়াতে পারেন!!!
প্রশ্ন হলো, আমাদের রাজনীতিবিদের বিভ্রান্ত করা কিম্বা তাদের নাম ব্যবহার করা কি এতই সহজ!! তারা এতটাই সস্তা, এতটাই দায়িক্তহীন???
তবে বর্তমান তোষামোদী রাজনীতির যুগে অচল(!)রাজনীতিবিদ আবদুর রাজ্জাক এতটা সস্তা ও দায়িক্তহীন ছিলেন না। আমৃত্যু দেশের জন্য কাজ করে যাওয়া এ যোদ্ধা, শেষ নিঃশ্বাস ও দেশের জন্য দিয়ে গেলেন! তিনি মরে প্রমান করলেন তিনি মরেন নাই! তিনি মরে এ দেশের হুজুকে মিডিয়া ও রাজনীতিবিদদের লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে গেলেন, দিয়ে গেলেন দায়িক্তশীল হবার শিক্ষা।

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১১

আমার নাম সমগ্র!!!




আমার পরিচিতজনেরা, প্রায়শই আমার নাম নিয়ে বিভ্রান্তিতে ভোগেন!!!
আমার ডাক নাম, ফেসবুক আইডি, সার্টিফিকেট নাম আর ব্যবহৃত নামের নানা মোহনায় বিভ্রান্ত ও বিরক্ত হওয়াই স্বাভাবিক!
জানিয়ে রাখি, পারিবারিক সুত্রে আমার নাম মোঃ আসাদুজজামান সুমন।
নিজেকে অনন্য হিসাবে মেলানোর অংশ হিসাবে ২০০৫ সালে আমি নাম নিয়ে প্রথম ব্যান্ডিং শুরু করি। আমার নাম থেকে বাদ পড়ে যায় সুমন এবং মোঃ কে কখনো মোহাম্মাদ কিম্বা মুহাম্মাদ লিখে নাম হয় মোহাম্মাদ আসাদুজজামান কখনো মুহাম্মাদ আসাদুজজামান।
২০০৬ সালে ধর্মীয় অংশ বাদ দিয়ে, আসাদুজজামান লেখা শুরু করি।
নামের আগের ও পেছনের অংশ বাদ দিয়েও আমি সন্তুষ্ট হতে পারছিলাম না তাই 69 ব্যান্ডিং বা ওলট-পালট করে "জামান আসাদ" লিখতে থাকি।
তবে আমি চাচ্ছিলাম, নামের এমন ব্যান্ডিং যা হবে অনন্য, অর্থবহ এবং অনুপ্রেরনাদায়ক।
আমার সামনে ছিলো সফল এবং বিখ্যাত ব্যাক্তিত্বরা,  কবি শামসুর রাহমান, লেখক শফিক রেহমান, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, সুরকার এ আর রহমান, যারা প্রতেকেই তাদের নাম পরিবর্তন করেছিলেন এবং সে পরিবর্তনের ধারা ছিলো মাত্র একটি অক্ষর এদিক ওদিক করে!!!
অনেকেই হয়তো এ আর রহমানের ক্ষেত্রে দ্বিমত প্রসন করতে পারেন! তারা বলতে পারেন, এ আর রহমান আল্লা রাখা রহমানের সংক্ষিপ্ত রুপ, পরিবর্তিত রুপ নয়। কিন্তু তারা হয়তো জানেন না, এ আর রহমান ধর্মান্তরিত হবার পর নাম রাখেন আব্দুর রহমান। তাই তার নামের সংক্ষিপ্ত রুপ হওয়া উচিত ছিলো এ রহমান। কিন্তু তিনি লিখতে থাকেন এ আর রহমান। পরবর্তিতে বিখ্যাত তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লা রাখা'র নামানুশারে তিনি পুনরায় নাম পরিবর্তন করেন!
তবে নামের একটি অক্ষর এদিক ওদিক করে ব্যান্ডিং করার ধারনাটি আমি পাই গ্রিক মিথ থেকে।
প্রেমের প্রতিক ROSE(রোজ), আর প্রেমের দেবতা??? ROSE এর শেষের  E সামনে এনে EROS(এরোস)।
মহান শিল্পী লিউনার্দো দ্যা ভিঞ্চি এমন  ধারনা থেকেই  সম্ভবত মোনালিসার নামকরন করেছিলেন। ভিঞ্চি নারী পুরুষের সমতায় বিশ্বাস করতেন, প্রাচীন মিশরীয় যৌনতার দেবতা আমন  এবং দেবী লিসা কে পাশাপাশি রেখে AMONLISA তে  AMON এর A কে মাঝে বসিয়ে  MONALISA করেছেন।
আমার নামের ব্যান্ডিং করার সময় খেয়াল করি ASADUZZAMAN লিখতে চারটি A প্রয়োজন হয়। কার্ড খেলা সম্পর্কে যাদের ধারনা আছে তারা জানেন, সবচেয়ে বড় কার্ড টেক্কা বা A। কিন্তু চার টেক্কা  মূল্যহীন। অপরদিকে থ্রি কার্ড খেলায় সবচেয়ে আরধ্য টেক্কার ট্রয় বা তিনটি A, যার ওপর পৃথিবী বাজি রাখা যায়। তাই আমি আমার নামে মূল্যহীন চারটি A থেকে একটি A কমিয়ে প্রেমের দেবতা এরসের অদ্যাক্ষর E দিয়ে ২০০৭ সালে নামের চুরান্ত ব্যান্ডিং ASADUZZEMAN বা আসাদুজজেমান করি। যেখানে রয়েছে তিনটি A বা টেক্কার ট্রয়, যেন আসাদুজজেমানের ওপর পৃথিবী বাজি রাখা যায়। এ নামেই আমি পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখি শুরু করি। ফলে আসাদুজজেমান নামটি সামাজিক ভিত্তি পায়। 
আমার নামের চুরান্ত ব্যান্ডিং এর পর প্রতি বছর আমি একটি করে নিক বেছে নিতে থাকি! যে নিক কোথাও ব্যবহৃত হয় না তবে আমাকে অনুপ্রেরনা যোগায়!
২০০৮ সালে আমার নিক ছিলো SUMAN। SUMON এ আমি O'র জায়গায় A দিয়ে MAN লিখি কারন আমি বিশ্বাস করি সবার ওপরে মানুষ সত্য।
২০০৯ সালে, আমার তারুন্য বোঝাতে থিম ব্যবহার করি- 
মেয়েদের জান
ছেলেদের ভাইজান
একমাত্র ইনসান
আসাদুজজেমান।
২০১০ সালে আমি FACEBOOK ব্যবহার শুরু করি। এবং আমার FACEBOOK ID ব্যান্ডিং করি ZEMAN ASAD।  নামের দুটি অদ্যাক্ষর Z এবং A। A তে মিশরীয় দেবতা আমন এবং Z তে শনির চাঁদ বা দুই মুখি দানব জ্যানাস!!! আসলে সবকিছুতেই দ্বিমুখিসত্তা কাজ করে। ভালো-মন্দ, দিন-রাত, আলো অন্ধকার, দেবতা ও দানব। আমার মধ্যে ভালো ও মন্দের রুপক অর্থে নামের অদ্যাক্ষরে রয়েছে দেবতা ও দানব, আমন ও জ্যানাস! লক্ষ্যনীয়, আমি দানব জ্যানাসের Z বা জেমানকে আগে এবং দেবতা আমনের A বা আসাদকে পরে স্হান দিয়েছি!!! কারন ব্যাক্তিত্বর দ্বিমুখী দন্দে শেষে টিকবে দেবতা। মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয় তো চিরকালীন।
২০১১ সালে আমার নিক ছিলো ZEMANIA (ZEMAN+MANIA)! আমার উন্মাদনাময় জীবনের প্রতিচ্ছবি  ZEMANIA।

২০১২ সালে আমার নিক SHUMAN। বর্তমানে আমরা বাস করছি ব্যাক্তিকেন্দ্রিক স্বার্থপর  দুঃস্বপ্নের যুগে.....মাঝে মাঝেই ভাবি, ঘুম ভাঙ্গলেই হয়তো ফিরে পাবো মানবিক এক পৃথিবী.....কিন্তু ঘুম ভাঙ্গেনা!!! হয়তো এ ঘুম ভাঙ্গার মতো মানবিক হতে পারিনি.... তাই ২০১২ হতে পারে মানবতাবোধ জাগ্রত করার বছর। লক্ষ্যনীয়, SHUMAN এ অদ্যাক্ষর S আলাদা করলেই এ  বোধ ফুটে ওঠে...S HUMAN

রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১১

পর্নোগ্রাফি নয়, ব্লগ হয় সুলিখিত নয়তো কুলিখিত!


অশ্লীলতা শব্দটির কোন সঠিক ও গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষন কেউ করেছেন কিনা আমার জানা নেই। বাংলাদেশের এক চিত্রপরিচালক "অশ্লীলতার কোন সংগা নেই" জাতীয় কথা বলে বেশ আলোড়ন তুলেছিলেন! তবে অশ্লীলতা সম্পর্কে সুন্দর ও শুদ্ধতম মন্তব্য করেছিলেন, অস্কার ওয়াইল্ড তার পিকচার অফ ডৌরিয়্যান গ্রে বইটিতে-
There was actually nothing as a moral or immoral book, Books were either well written or badly written"
অস্কার  ওয়াইল্ড যদি আজ বেঁচে থাকতেন তাহলে হয়তো তিনি তার মন্তব্য অন্যভাবে লিখতেন। কারন আজ ভিন্নমত অশ্লীলতা, আজ অন্যায়ের সমালোচনা অশ্লীলতা, অশ্লীলতা শুদ্ধচিন্তা!
৩ ডিসেম্বর, এলজিআরডি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন- ব্লগ এখন অনেকটা পর্নোগ্রাফিতে পরিণত হয়েছে! তথ্যসুত্র
 আমি জানিনা, সৈয়দ ইসলাম বিডিব্লগ, প্রথমআলো ব্লগ নিয়মিত পড়েন কিনা? যদি পড়ে থাকেন এবং ব্লগ যদি পর্নোগ্রাফি হয়! তাহলে আশার কথা, অন্তত পর্নোগ্রাফির টানে হলেও আমাদের রাজনীতিবিদেরা ব্লগ(আসলে রসময়গুপ্ত) পড়ছেন!
ডি.এইচ.লরেন্স যথার্থই বলেছিলেন-
What is pornography to one man is the laughter or genius to another.
অনেকের কাছে হাস্যকর, পর্নোগ্রাফি মনে হলেও আমাদের গনতন্ত্রের দূর্বল ও অথর্ব বিরোধীদল যখন ঠুনকো অযুহাতে গঠনমূলক সমালোচনা থেকে দূরে সড়ে যাচ্ছে, তখন গনমাধ্যম বিশেষকরে ব্লগগুলো যখন গঠনমূলক সমালোচনা করছে তা কি গনতন্ত্রকে সুদৃঢ় ভিত দিতে সহায়ক নয়???
তবে হ্যা, সৈয়দ ইসলামের যে কথা গুলোর যৌক্তিক  আবেদন রয়েছে-
(১)  ব্লগ গুলোতে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অশালীন ও অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া হয়, কিন্তু অশালিন মন্তব্য গুলো মডারেশন করা হয় না।
(২) প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক,বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সহ অনককে নিয়ে ব্লগে অশালীন ও কুৎসিত মন্তব্য করা হয়। যার সঙ্গে বক্তব্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
(৩) নিজেদের ক্রেডিবিলিটি ধরে রাখতে ব্লগগুলো মনিটর করা।
এ মন্তব্যের সাথে আমিও একমত তবে
(৪) সবাইকে ব্লগ মডারেট করতে হবে।
এ মন্তব্য অনেক বেশী কর্তৃত্ব পরায়ন বলে মনে হয়েছে।
 তাকে বুঝতে হবে, জনমত তাদের অনেক কাজের মডারেশন দাবি করে, তারা ক্ষমতার দম্ভে নিজেদের অযোক্তিক কাজ গুলো মজারেশন করবেন না কিন্তু জনগনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মডারেট করতে বলবেন তা কি করে যোক্তিক আবেদন সৃষ্টি করতে পারে??? বিনা মডারেশনে সে ব্লগ ক্ষমতাশীনের কাছে পর্নোগ্রাফি মনে হলেও ক্ষুব্ধ জনমনে তা বাস্তব মনে হতে পারে! তবে অস্কার ওয়াইল্ডের ভাষায় বলা যায়- "ব্লগ কখনো পর্নোগ্রাফি হয়না ব্লগ হয় সুলিখিত নয় তো কুলিখিত"।

বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১১

ঢাকা, দুই ভাগেতে হবেনা যাহা, সাত ভাগেতে সফল!


যখন পাঁচ মিনিটে রাজধানী  ঢাকাকে দুই ভাগ করা হলো...
আমি ভাবছিলাম, এ যুগের শিশুদের গনিত শিখতে আর ধারাপাতের দরকার নেই!!! শিশুরা গনিত শিখবে রাজনীতি থেকে!
মাইনাস-টু ফর্মুলা থেকে বিয়োগ।
সেই ফর্মূলা ব্যর্থ করে দুই নেত্রীর প্লাস হওয়া থেকে যোগ।
ঢাকা বিভক্তি থেকে ভাগ।
আর জনভোগান্তির ক্রমাগত বৃদ্ধি থেকে গুন।
যদিও সরকারের কর্তা ব্যাক্তিরা, ঢাকা বিভক্তি থেকে ভাগ এবং গুন এক সাথে শেখাতে চাচ্ছেন! বিভক্ত ঢাকায় নাকি সেবার মান কয়েক গুন বৃদ্ধি পাবে।
আমি ভাবছিলাম, রুপকথার সেই আটকুড়ে রাজার গল্প। যে রাজার আছে হাতিশালায় হাতি, ঘোড়াশালায় ঘোড়া, টাকশালে টাকা। কিন্তু রাজার মনে শান্তি নেই! রাজ্যে সুখ নেই!  থাকবেই বা কি করে, রাজা যে আটকুড়ে। লোকে বলাবলি করে, রাজাও সন্তানের আশায় একটার পর একটা বিয়ে করে যান।
গল্গটা যদি আধুনিক যুগের হতো তাহলে হয়তো জানা যেত রাজা নপুংসক কিনা? রুপকথা বলেই হয়তো সমস্যা জানার সুযোগ নেই। তাই নপুংসক রাজার আটকুড়েমির মাশুল দিতে হয় একটার পর একটা রানীর। জনগনও অন্তহীন প্রত্যাশায় থাকে রাজার সন্তান হবে, আটকুড়েমি ঘুচবে, রাজ্যে শান্তি আসবে...
 আমি ভাবছিলাম, বর্তমান সরকারের অবস্থাও সেই আটকুড়ে রাজার রুপকথার মতো। দেশে শান্তি নেই... শেয়ার বাজারে অব্যাহত সুচক প্রপাত, আইন শৃংখলার অবনতি, রাজধানীতে বিভিন্ন নাগরিক ভোগান্তি।
সরকার নাগরিক সুবিধা বাড়াতে সেই রাজার রানী বাড়ানোর মতো, উত্তর-দক্ষিন নামে ঢাকা বাড়াচ্ছেন!
কিন্তু তারা জানেন না তাদের সমস্যাটা কোথায়? নপুংসকের বৌ বাড়িয়ে লাভ কি? সমস্যা না জেনে, না বুঝে জনমতের তোয়াক্কা না করে ঢাকা ভাগ করেইবা কি লাভ?
তবে আমি আশাবাদি, রুপকথার সেই রাজার কিন্তু অবশেষে সন্তান হয়, আটকুড়েমি ঘোচে! রাজার স্বপ্নে দেখা দেয় এক দরবেশ। সে গান গেয় জানায়-"ছয় রানীতে দেয়নি যাহা, সাত রানীতে সফল"। রাজা দরবেশের কথায় সপ্তম বিয়ে করেন এবং সফল হন।
বর্তমান সরকারের ক্ষেত্রেও এমন কোন দরবেশ দেখা দিতে পারে। আর সেই দরবেশ হতে পারে শেয়ার বাজারের আলোচিত দরবেশ বাবা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-"টাকা থাকলে ঢাকাকে নাকি চার ভাগ করতেন"!
টাকা সমস্যার উত্তম সমাধান হতে পারে শেয়ার বাজারে কোটি কোটি টাকা লুটে নেয়া সেই দরবেশ বাবা!
তিনি হয়তো এখন গানের সুরে বলতে পারেন-"ঢাকা, দুই ভাগেতে হবেনা যাহা সাত ভাগেতে সফল"!
আমি আশা করছি, সফলতার জন্য ঢাকাকে দুই ভাগ নয় বরং সাত ভাগ করা হবে...
আর এতেও যদি সফলতা না আসে, তাহলে রুপকথার জনগনের মতো আধুনিক যুগের জনগনকে অনন্ত প্রত্যাশা করতে হবে না....অপেক্ষা শুধু দুই বছর....অপেক্ষা পরবর্তি নির্বাচনের।