রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪

বাঙলা নববর্ষে যে উৎসবটা বাঙলাদেশে হতে পারে?

প্রাচীন বাঙলা নববর্ষ উৎযাপনের আনুষ্ঠানিকতায় বিশেষায়িত উৎসব হলো- পুন্যাহ, হালখাতা এবং বৈশাখী মেলা।
আধুনিক বাঙলা নববর্ষ উৎযাপনের সবচেয়ে সুগঠিত ও সুপরিকল্পিত উদ্যোগ হলো- রমনার পাকুড়মূলে ছায়ানটের নববর্ষ উৎসব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্নাট্য মঙ্গল শোভাযাত্রা।
এ ছাড়াও বিভিন্ন আঞ্চলীক উদ্যোগে হয়- বলীখেলা, ঘোড়দৌড়, মোরগ লড়াই, লাঠিখেলা, যাত্রাপালা, কবিগান, গম্ভিরা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা....

লক্ষ্যনীয়, নববর্ষ উৎযাপনের এ অনুষ্ঠানগুলো এ অঞ্চলের মানুষের মন ও মননের সাথে এবং তাদের আর্থিক ও সামাজিক বাস্তবতার সাথে সম্পর্কিত।
এ সম্পর্কটা শুধু কৃষি প্রধান দেশে সাধারন মানুষে হাতে ফসল না ওঠা পর্যন্ত টাকা না থাকা, সেজন্য বাকী খাতাতে হিসাব লেখা, নতুন বছরে হাল খাতা খোলা, খাজনা দেয়া, সারা বছরের পন্য কেনার মতো উৎসবেই সীমাবদ্ধ নয়!
এ সম্পর্কটা গনতন্ত্রকামী মানুষের গনতন্ত্র আকাংখা, ভোটারদের ভোটাধিকার, এবং জনগনের প্রত্যাশিত সুশাসনের সাথেও সম্পর্কিত।

তাই এ নববর্ষে বন্ধ গনতন্ত্রের নতুন খাতা বা একতরফা নির্বাচনের বিপরীতে নতুন নির্বাচন হতে পারে 'হালখাতা'। ভোট কেন্দ্রে আমন্তিত হয়ে ভোটদিতে পারা হবে পুন্যাহ। এবং উৎসবের আমেজে সর্বদলীয় নির্বাচন হতে পারে বৈশাখী মেলা।

আর তাই, অবিলম্বে সব দলের অংশগ্রহনে একটি নির্বাচনই হতে পারে এ নববর্ষে বাঙলাদেশের সেরা উৎসব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন