সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

নিরপেক্ষতা কথন এবং মুহূর্তের মন্তব্য

এক.
দলবাজিকে আকর্ষনীয় মোড়কে বাজারজাত করার অসাধারন ক্ষমতার নাম 'নিরপেক্ষতা'!
দুই.
ফেসবুকে নিরপেক্ষ থাকার আদর্শ উপায় হলো- কীবোর্ড ভেঙ্গে ফেলা!
তিন.
নিরপেক্ষতা, এমন এক অভিনয়, যেখানে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করতে হয়!
চার.
নেংটা রাজার পোশাকের প্রসংশা করাটা পক্ষপাত, রাজাকে নেংটা বলাটা পক্ষপাত,
আর রাজা নেংটা তবে তার গুপ্তঅঙ্গের কেশগুলো সুন্দর...এমন ব্যালান্সই নিরপেক্ষতা।
পাঁচ.
মুক্তিযোদ্ধারা একটা পক্ষ, রাজাকারেরা আরেক পক্ষ, আর সোনাগাছির ফুর্তিবাজেরা নিরপেক্ষ।
ছয়.
স্রষ্টার অশেষ রহমত, মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানেরা নিরপেক্ষ থাকতে চায়নি, তারা স্বাধীনতার পক্ষ নিয়েছিলো। নিরপেক্ষ থাকার ভন্ডামি তাদের স্পর্শ করেনি বলেই, এ দেশটা এখন বাংলাদেশ।
সাত.
নিরপেক্ষতা হলো- একই সাথে নায়ক ও ভিলেনের সাথে নায়িকার গ্রুপ সেক্স।
আট.
শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্নাঙ্গ' মধ্যে, আমি কারোরই নয় কিংবা আমি দুজনার।
এর নাম দেয়া হয় নিরপেক্ষতা! অথচ এটার নাম মানবতা। এটাও একটা পক্ষ। এটা মানবতার পক্ষ।
*মন্তব্য- নিরপেক্ষতা এক জনপ্রিয় ভ্রান্তি! বিবেকবোধ নিয়ে নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ নেই।
ভাষা আন্দোলনে কি সম্ভব ছিলো নিরপেক্ষ থাকা? মুক্তিযুদ্ধ কিংবা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কি সম্ভব ছিলো নিরপেক্ষতা?
না, নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ ছিলো না। সে সময়গুলোতে জোরালো পক্ষালম্বনই ছিলো নৈতিক অবস্থান। ভাষা আন্দোলনে বাংলার পক্ষ, মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার পক্ষ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গনতন্ত্রের পক্ষই ছিলো সময়ের দাবী।
বর্তমানেও সময়ের দাবী মেটাতে নিরপেক্ষ থাকার ভন্ডামী আমাদের ছুড়ে ফেলতে হবে পক্ষাবলম্বনের নৈতিক অবস্থানে। আমাদের অবশ্যই পক্ষ নিতে হবে, যে পক্ষ গনতন্ত্রের পক্ষ, যে পক্ষ ভোটাধিকারের পক্ষ...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন