মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৪

মুহূর্তের মন্তব্য

সাম্প্রতিক সময়েই জাতি হারিয়েছে, বিরুপ সময়ের বিপোরিতে দাড়ানো দুই সাহসী সন্তান। ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন এবং বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ড. পিয়াস করিম। অথচ একটি দেশ ও জাতি কতটা অকৃজ্ঞ হলে, কতটা বর্বর হলে, মৃত্যুর পর তাদের প্রাপ্য মর্যাদাপূর্ন সন্মান না দিয়ে, মৃত মানুষের প্রতি কুৎসা এবং প্রতিহিংসায় লিপ্ত হতে পারে! সত্যি, বিচিত্র এ দেশ! এ বিষয়ে ফেসবুকে দেয়া কয়েকটি নির্বাচিত মন্তব্য এখানে দেয়া হলো।

এক.
মৃত্যুর পর ভাষা সৈনিক মতিন, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না পেলে, তার মর্যাদা কমে না।
এতে মর্যাদা কমে ভাষার, প্রকাশ করে রাষ্ট্রের দৈন্যতা, ফেলনা হয়ে পড়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা...
অবশ্য, রাষ্ট্রেরই যেখানে মর্যাদা নেই। বাংলা মায়ের সন্তানের ভোটাধিকারের যেখানে গুরুত্ব নেই। লুটেরার হাতে যখন ঘটছে বাংলা মায়ের সম্ভ্রমহানী!
তখন, মায়ের ভাষা রক্ষা করা এক সৈনিক সন্তানের মরোনত্তোর মর্যাদা প্রত্যাশাও এক বিরম্বনা....
আমরা মানি বা না মানি- ভাষা সৈনিক মতিনের মৃত্যু হয়েছে ক'দিন আগে কিন্তু এদেশের তরুনদের মাঝে সেই যৌবনিক শক্তির অপমৃত্যু হয়েছে অনেক আগে! যে শক্তির অ্যামবাসেডর ছিলেন ভাষা মতিনের মত তরুন দেশপ্রেমিকেরা।
এদেশের তরুনদের রাজনৈতিক নপূংসতা, ভাষা মতিনের শেষ সময়গুলোকে অসহ্য করেছিলো নিশ্চই! তারুন্যের এতটা অথর্ব যৌবনিক শক্তি দেখার চেয়ে মৃত্যুটাও বড় প্রশান্তির, স্রষ্টা প্রদত্ত এক মর্যাদা...

দুই.
নগ্ন রাজাকে দেখে চুপথাকা কিংবা অদৃশ্য পোশাকের প্রসংশায়মাতা মানুষের ভিড়ে,
রাজা নেংটা, বলার মত মানুষগুলো দিনদিন কমে যাচ্ছে....
ড. পিয়াস করিম,
চলে যাবার জন্য এটা নিতান্তই অসময়....
বিশেষত, নগ্ন রাজার উলঙ্গপনার অতিষ্ট সময়ে, আপনার সাহস ও স্পষ্ট ভাষন, মোহাচ্ছন্ন জনগনকে দেখিয়ে দিতে পারতো- 'ওমা, রাজাজে সত্যি নেংটা.....

তিন.
হে পরোয়ারদিগার, তোমার হাজার শোকর।
কদিন আগেই তুমি ভাষা মতিন সাহেবকে উঠিয়ে নিয়ে, একজন ভাষা সৈনিককে শহিদ মিনার বিভক্ত দেখার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিয়েছ....

চার.
জীবিত পিয়াস করিমের কথার জবাব যারা দিতে পারে নি,
তারাই আজ মৃত ব্যক্তিটির বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে...এরা এতোটাই কাপুরুষ।।
ড. পিয়াস করিম স্বার্থক,
জীবিত অবস্থায় যুক্তির মাধ্যমে যাদের নির্বাক করেছেন, মরনের পরও তাদের কাপুরুষ প্রমান করে দিয়েছেন....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন