শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

সত্য প্রকাশের ব্যর্থতা, অসংখ্য মিথ্যার জন্ম দেবে!!!

প্রয়াত হুমায়ন আজাদ স্যার, একবার বলেছিলেন-
"ক্ষমতায় থাকার সময় যারা সত্য প্রকাশ করতে দেয় না, ক্ষমতা হারানোর পর তারা অজস্র মিথ্যার প্রকাশ রোধ করতে পারে না"।
আসলে সত্য প্রকাশের ব্যর্থতাই, অজস্র মিথ্যাকে উষ্কে দেয়। যখন সন্দিহান মনে মিথ্যাকেও সত্যর মতো শোনায়! অনেক সত্যকেও মিথ্যা বলে ভ্রম হয়!
আজ ছুটির দিনের অলস অপরান্হে, বিভিন্ন ব্লগ সাইডে বিভিন্ন লেখা পড়ছি- সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকান্ড: এক্সক্লুসিভ গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস। শিরোনামে একটি লেখা দেখে চমকে উঠলাম!  প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে বিস্তারিত পড়তে গিয়ে নিতান্তই হতাশ হলাম! সুত্র ও সারবেত্তাহীন, রাজনৈতিক সুরসুরির কলম সন্ত্রাস! লেখাটির সারসংক্ষেপ হলো-
সাংবাদিক সাগর-রুনি খুন করার কিলিং মিশেনর দায়িত্ব পালন করেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই। খুনের পর দিনই সে গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে ছেড়ে দিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়া হয়। সাংবাদিক রুনি বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান ও তার সামিট গ্রুপের দূর্নীতির একটি সেনসেটিভ এন্ড এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। কিন্তু এটিএন বাংলা সেটা প্রচার করেনি। রুনি পরে সেই রিপোর্টটি তার স্বামীকে দেয় মাছরাঙায় প্রচারের জন্য। এ প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বাণিজ্যমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রী ব্যাপকভাবে ফেঁসে যেত। তাই এ খবরটি এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছে দেন। ফারুক খান মাহফুজুর রহমানসহ পরিকল্পনা করেন। সাগরের ল্যাপটপ কব্জা করার দায়িত্ব পড়ে মাহফুজুর রহমানের ছোটভাইয়ের ওপর। রুনিকে আয়ত্বে আনতে না পেরে খুনীরা দুই সাংবাদিককেই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়।

সুত্র বিহীন এ লেখায় সরকার বিরোধীরা বিনোদিত হতে পারেন! আবার সরকার দলীয় লোকেরা অবজ্ঞায় পাশ কাটিয়ে যেতে পারেন!
হতে পারে এ ঘটনা সত্য! হতে পারে এটা মিথ্যা, এবং মিথ্যার স্বপক্ষে এ এক ভয়ানক অপপ্রচার! ঘটনা যাই হোক, এর দায়টা অবশ্যই সরকারের!
আমি ভাবছিলাম,  সত্য প্রকাশের ব্যর্থতাই, অজস্র মিথ্যাকে উষ্কে দেয়।
সরকারের ৪৮ ঘন্টা পেড়িয়ে ১৩ দিনের ব্যর্থতাই, এমন প্রচারকে উস্কে দিচ্ছে.....ক্ষমতায় থাকতেই যারা এমন প্রচারের শিকার হচ্ছে....কখনো ক্ষমতাহারা হলে এ বিষয়ে আরো কতো অপপ্রচারের শিকার হতে হবে, তা সরকারকে দ্রুতই উপলব্ধি করা উচিত। এ তদন্ত অবিলম্বে শেষ করে, দোষিদের দ্রুত গ্রেফতার করা উচিত। না হলে ৪৮ ঘন্টার আশাবাদের ব্যর্থতা, আর বেডরুম তত্ব যে অবিশ্বাসের জন্ম দেবে, সেখানে অনেক মিথ্যা সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত হবে.......!!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন